বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চাহিদার টেকনোলজি “অন-ডিমান্ড কম্পিউটিং(ওডিসি)” এর গল্প ১

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি চাহিদার টেকনোলজি “অন-ডিমান্ড কম্পিউটিং(ওডিসি)” এর গল্প ১

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

আপনার ১৬/ ৩২ কিংবা আরো বেশি কোর প্রসেসরের প্রসেসিং পাওয়ার দরকার হতে পারে কোন বড় ক্যালকুলেশনের জন্য কিংবা মেশিন লার্নিং এর বড় কোন মডেল রান করার জন্য , যা আপনার- আমার মত গরিবের পক্ষে একদম খুবই কঠিন । কিন্তু সেই জন্য কি আমরা ডিপ লার্নিং শিখতে পারবো না ? অবশ্যই পারবো । আর এই জন্য আমরা ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে (সাধারন পিসি থেকেই) কমমূল্য দিয়েই (হয়ত ঘন্টা হিসেবে) ঐ সার্ভিস পেতে পারি আমাদের ঘরের ইন্টারনেট কানেক্শনের মাধ্যেমে কানেক্টেড হয়ে। তারমানে, যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় আমরা হাই প্রসেসিং কাজ করতে পারি খুব সহজেই।

উপরে যা বললাম, সাধারণত এটাই ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মূল ধারণা।
আজকের লেখার আমার ফোকাস ক্লাউড কম্পিউটিং টার্মটির উপরে না, সেটা হলো অন ডিমান্ড কম্পিউটিং(যাকে ক্লাউড কম্পিউটিং নাম আমরা জানি) . অন ডিমান্ড কম্পিউটিং এর সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো, আমাদের প্রব্লেমের জন্য দরকার সল্ভ আর সল্ভিংয়ের দিকে ফোকাস থাকা। টাকার বিনিময়ে আইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং এপ্লিকেশন আমরা ভাড়া নিতে পারি আমাদের ডিমান্ড অনুযায়ী। কেন অন ডিমান্ড কম্পিউটিং দরকার?

ধরুন, একটা ভার্সিটি থেকে সদ্য পাস্ করা যুবক হাইলি মোটিভেটেড হয়ে একটা সফটওয়্যার ফার্ম দিবে বলে মনস্থির করলো। সে তার অফিসের কাঠামো ডেভলপ করতে গিয়ে ফিন্যান্স এর প্রব্লেমে পড়লো। কিনতু, এই মুহূর্তে একটা কাজ সে বাহির থেকে পেয়ে বসলো। কাজটা করতে গিয়ে দেখলো হাই পারফর্মিং কম্পিউটার এবং অনেক রিসোর্স লাগতেছে। কি করবে সে এখন ? কাজ থেমে রাখবে ! না। সে অনেক স্মার্ট, তাই সে ও ডিমান্ড কম্পিউটিং এর আশ্রয় নিলো। কাজ টি সফল ভাবে শেষও করতে পারলো।
আবার যদি, আমরা লক্ষ্য করি অনেক কাজ সফটওয়্যার আপডেট এর জন্য থেমে থাকে। কারণ, হাই কনফিগার সফটওয়্যারগুলো ইনস্টলেশন অনেক সময় অনেক কমপ্লেক্স হয়ে থাকে। ফলে, নতুন কোম্পানিগুলোর জন্য এই ইস্যু চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারগুলো মেইনটেন করা যেমন কঠিন তেমনই অনেক বেশি ইনভেস্টমেন্টও লাগে। এত কমপ্লেক্সিটির সমাধান কি?

{ "slotId": "", "unitType": "in-article", "pubId": "pub-6767816662210766" }

যতটুকু লাগবে ততটুকুই আপনি ব্যবহার করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি প্রোডাক্ট মার্কেটে নিয়ে আসুন অন ডিমান্ড কম্পিউটিং বা ক্লাউড কম্পিউটিং আর মাধ্যমে।

সার্ভিসের উপর ভিত্তি করে ক্লাউড কম্পিউটিং কে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারেঃ

1. IaaS (Infrastructure-as-a-Service)
2. PaaS (Platform-as-a-Service)
3. SaaS (Software-as-a-Service)

Related image

নিচের ছবিটি দেখে আমরা ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে যাবো আশা করি ।

Image result for iaas paas saas examples

Iaas = আপনার হয়তো শুধু হার্ডওয়্যার সার্ভিস দরকার হলে IaaS ব্যবহার করতে পারেন। যেমন , সার্ভার, স্টোরেজ , নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।PaaS = কম্পিউটিং এনভায়রনমেন্ট পেতে PaaS ব্যবহার করা হয়। SaaS = আর সফটওয়্যার সার্ভিসগুলো পেতে SaaS কিনতু, আপনি যদি সব সার্ভিস একসাথে পেতে চান তাহলে আপনাকে XaaS বেছে নিতে হবে(Anything as a Service)।

অন ডিমান্ড কম্পিউটিং এর সুবিধাঃ

কম খরচঃ যেহেতু পুরো সিস্টেমটাই ভার্চুয়াল , সফটওয়্যার কিংবা হার্ডওয়্যার কেনার ঝামেলা নাই তাই স্বাভাবিক ভাবে খরচ কম হবেই।

সহজে ব্যবহারঃ যেকোনো স্থানে বসেই আপনি রিমোটলি আপনার সিস্টেম কন্ট্রোল করতে পারবেন। সফটওয়্যার আপডেট খরচ অনেক বেশি কিনতু এখানে আপনাকে কোনো আপডেট এর জন্য খরচ করতে হবে না।

যতটুকু ব্যবহার ততটুকু খরচঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এ যতটুকু আপনার প্ৰয়োজন শুধু মাত্র ততটুকুর জন্য টাকা গুনতে হবে। যেটা কিনা ডেস্কটপ কম্পিউটিং বা ওয়ার্ক স্টেশনে সম্ভব না।

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

সম্পূর্ণ সিকিউরঃ ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ সিকিউর কারন এতে আপনার ডাটা হারানোর বা নষ্ট হবার কোন চান্স থাকে না। ল্যাপটপ বা কম্পিউটার হারিয়ে যায়। হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে যায় ইত্যাদি সমস্যা থেকে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ মুক্ত। কারণ, আপনার ইনফরমেশন পৃথিবীর কোথায় আছে কোন ডাটা সেন্টারে আছে এটা কেউ জানে না। আর আপনার ইনফরমেশনের ডুপ্লিকেট কপিও থাকে।

লেখাটা শেষ করছি, অন ডিমান্ড কম্পিউটিং এর সৃষ্টির ইতিহাস দিয়ে। ক্লাউড কম্পিউটিং এর পিছনের কথা অর্থাৎ ইতিহাস বেশ গুরুত্বপূর্ণ বটে। সেই ১৯৬০ সালে এর একটা ধারনা পাওয়া যায়। সে সময় জন ম্যাক ক্যার্থি এ সম্পর্কে মতামত দেন,“কম্পিউটেশন একদিন সংগঠিত হবে পাবলিক ইউটিলিটি হিসেবে”।তবে প্রকৃতপক্ষে এর ধারনায় ভিত্তি লাভ করেছে ১৯৯০ সালের দিকে।আপনি যদি কাউকে জিজ্ঞেস করেন কবে থেকে এটা শুরু হয়েছে ? তাহলে, তারা হয়তো বলবে, ২০০৩-২০০৫ এর দিকে। কিনতু , কমপ্যাক ইঞ্জিনিয়াররা ১৯৯৬ সালে তাদের কিছু ফ্রেশব্যাক নথিতে ক্লাউডের প্রথম ব্যবহার করেন। পরে, ২০০৬ সালে এরিক স্মিথ (গুগল) এগুলা কিনে নেই এবং পরবর্তীতে ক্লাউড ব্যবসার মডেল হয়ে যান।যখন আপনি গুগলের কোনো সার্ভিস ইউজ করছেন , তা গুগল ক্লাউড থেকেই করছেন। এমাজন , মাইক্রোসফ্টও কম যায় না ! তারাও অনেক পাকা খেলোয়াড় হিসাবে দাঁড়িয়ে গেছে ক্লাউড ফিল্ডে।
ক্লাউড কম্পিউটিং যতটা না টেকনিক্যাল টার্ম তার চেয়ে আমি মনে করে এটা একটা বিসনেস টার্ম।

Raju Ahmed Rony

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

Data Science Enthusiast
Dept. of Software Engineering

Daffodil International University

& Communication Manager, Youth Carnival

{ "slotId": "2452885053", "unitType": "in-article" }

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *