বিগ ডেটার মার্কেট এনালাইসিস

২০১৩-২০২৫ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী বিগ ডাটার তথ্য বিশ্লেষণে করে দেখা গেছে যে, বর্তমান বাজার প্রায় ২১২.৪ বিলিয়নে পৌঁছতে পেরেছে। এই প্রতিবেদন আঞ্চলিক এবং সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত। এতে  ২০১৩, ২০১৪ revenue estimation এর ভিত্তিতে ২০১৫ এর মার্কেট ডাটা কেমন হবে এবং ২০১৬ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তা কেমন থাকবে তা তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য  বিষয় ছিল বাজারের হালচাল নিয়ে গবেষণা করা।

বাজারে কে নেতৃত্ব দিচ্ছে, নতুন প্রযুক্তির আগমন, উন্নয়নের প্রধান উপাদান এবং  ভবিষ্যৎ কৌশল কি হবে ইত্যাদি নিয়ে আলোচনাই এই প্রতিবেদনের মূল বিষয়। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া প্যাসিফিক, মধ্য প্রাচ্য, ল্যাটিন আমেরিকা সহ বিশ্বের প্রায় সকল প্রতিযোগিতামূলক বাজারের বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। প্রফেশনালসদের থেকে সংগৃহীত তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন করা হয়।  যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো, স্পেন, ফ্রান্স, ইটালি, চীন, ব্রাজিল   এর মত প্রায় ২৩ টি দেশের মার্কেটের দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। এসব ডাটা কিছু প্রাথমিক পর্যায়ের ইন্টারভিউ এবং গবেষণাপত্র থেকে নেয়া হয়। গবেষণাধীন সকল ক্ষেত্রের বিক্রির অর্থের উপর নির্ভর করে মার্কেটের সাইজ হিসেব করা হয়।

প্রযুক্তিগত ডাটার ব্যবহার

  • com ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী এবং সার্চের জন্য ৭.৫ পেটাবাইট এবং ৪০ পেটাবাইটের ও্য়ারহাউজ এবং ৪০ পেটাবাইটের Hadoop cluster ব্যবহার করে
  • com প্রতিদিন অর্ধেক মিলিয়ন থার্ড পার্টির অনুসন্ধানসহ কয়েক মিলিয়ন কাজ পরিচালনা করে থাকে। তাদের প্রধান প্রযুক্তি হচ্ছে লিনাক্স বেসড। ২০০৫ সালের হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানের (৭.৮ টেরাবাইট, ১৮.৫ টেরাবাইট এবং ২৪.৭ টেরাবাইট ) তিনটি লিনাক্স ডাটা বেজ এর অধিকারী ছিল অ্যামাজন।
  • Facebook তার ব্যবহারকারীদের প্রায় ৫০ বিলিয়ন ছবি নিয়ন্ত্রন করছে।
  • Google প্রতি মাসে (২০১২ সালের হিসেব অনুসারে) প্রায় ১০০ বিলিয়ন সার্চ নিয়ন্ত্রন করে।
  • Oracle NoSQL Database has been tested to past the 1M ops/sec mark with 8 shards and proceeded to hit 1.2M ops/sec with 10 shards.

privet sector

  • Walmart প্রতি ঘণ্টায় ১ মিলিয়ন কাস্টমারের ট্রানজেকশন নিয়ন্ত্রন করে যা ২.৫ পেটাবাইট ডাটাবেসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসব ডাটার পরিমান US Library of Congress এ সংগৃহীত সকল বইয়ের তথ্যের ১৬৭ গুন বেশি।
  • FICO Card Detection System বিশ্বব্যাপী সকল একাউন্ট কে সুরক্ষা দেয়।
  • Windermere Real Estate এক ধরনের GPS সিগন্যাল ব্যবহার করে। প্রায় ১০০ মিলিয়ন চালকের মাধ্যমে তারা কর্মস্থলের কাছাকাছি যারা নতুন বাড়ি ক্রয় করতে ইচ্ছুক তাদের পছন্দসই বাড়ি দিতে খুজে দেয়ার কাজ করে থাকে।
  • এক পরিসংখ্যান অনুসারে সারা বিশ্বে সকল কোম্পানির তথ্য প্রায় ১.২ বছরে দ্বিগুণ হচ্ছে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তো ?

0

Related image

ষোড়শ শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদন শুরু মঙ্গলবার

এবারও শিক্ষক হতে আগ্রহীদের তিন ধাপে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশার জন্য বাছাই করা হবে। প্রথম ধাপে হবে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা, যা নেয়া হবে আগামী ৩০ আগস্ট।

নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেয়া হবে এবং এসএমএস পাঠিয়ে প্রার্থীদের এ বিষয়ে জানানো হবে। প্রবেশপত্রে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ভেন্যু ও তারিখ উল্লেখ থাকবে।

বিগত বছরের মতো এবারও প্রার্থীদের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় থাকবে ১ ঘণ্টা। বিষয় থাকবে মোট ৪টি। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান। প্রতিটি বিষয়ে ২৫টি করে মোট ১০০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা হবে। এরপর প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। উভয় পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পরবর্তী সময়ে এসএমএসের মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে। তাই হাতে আর মাত্র পাবেন কয়েকটি দিন। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে আপনিও পেতে পারেন শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ। নতুন পদ্ধতিতে এই সনদ দিয়ে এনটিআরসিএ বরাবর অনলাইনে আবেদন করে মেধাতালিকার ভিত্তিতে যেকোনো বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া যাবে।

পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করতে হলে ৪০ নম্বর পেতে হবে। প্রতি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর দেওয়া হবে। ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর কাটা হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। প্রতি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে বরাদ্দ থাকবে।

বাংলা: স্কুল পর্যায়ের জন্য বাংলা অংশে ভালো করতে হলে ব্যাকরণে জোর দিতে হবে। ব্যাকরণের প্রায় প্রতিটি অধ্যায় থেকে এক থেকে দুটি প্রশ্ন আসে। এসব অধ্যায়গুলোর মধ্যে ভাষারীতি ও বিরাম চিহ্নের ব্যবহার, বাগধারা ও বাগবিধি, ভুল সংশোধন বা শুদ্ধকরণ, অনুবাদ, সন্ধিবিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, সমাস ও প্রত্যয়, সমার্থক ও বিপরীতধর্মী শব্দ, বাক্য সংকোচন, লিঙ্গ পরিবর্তন অধ্যায়গুলো ভালোভাবে জানতে হবে। কলেজ পর্যায়ের জন্য পড়তে হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবইগুলো। এসব বইয়ের গদ্য ও পদ্যের লেখক পরিচিতি সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো করা যাবে। বিগত বছরের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধান করলেও ভালো একটি অভিজ্ঞতা হবে।

ইংরেজি: ইংরেজি বিষয়ে বেশি করে পড়তে হবে গ্রামারের খুঁটিনাটি। এ অংশে ভালো করতে হলে গ্রামার অংশকে গুরুত্ব দিতে হবে। ইংরেজির জন্যও আপনি একটি দিকদর্শন প্রকাশনীর বই থেকে অনুশীলন করলে ভালো একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। এখানে গ্রামারের ওপর সহজভাবে আলোকপাত করা আছে। গ্রামার অংশ থেকেই স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়েই প্রশ্ন আসে। Completing Sentences, Translation from Bengali to English, Change of Parts of Speech, Right Forms of Verb, Fill in the Blanks with Appropriate Word, Transformation of Sentences, Synonyms and Antonyms, Idioms and Phrases, Article— এ অধ্যায়গুলোর ওপর ধারণা থাকতে হবে।

সাধারণ গণিত: গণিতে ভালো করতে হলে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির বইগুলো বারবার চর্চা করতে হবে। পাটিগণিত থেকে লসাগু, গসাগু, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত— এসব অধ্যায় ভালো করে চর্চা করলে প্রশ্ন পাওয়া যাবে। বীজগণিতের জন্য করতে হবে উৎপাদক, বর্গ ও ঘণ-সংবলিত সূত্রগুলো ও প্রয়োগ, গসাগু, সূচক, লগারিদম— এসব অধ্যায় থেকে প্রতিবছরই প্রশ্ন থাকে। জ্যামিতির জন্য রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, ক্ষেত্রফল ও বৃত্ত অধ্যায়গুলো আয়ত্তে রাখা দরকার। কলেজ পর্যায়ের জন্য পড়তে হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বই। বিগত বছরগুলোর বিসিএস প্রশ্ন ও শিক্ষক নিবন্ধন প্রশ্নগুলো বারবার চর্চা করলেও ভালো করা যাবে। প্রতিটি উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে।

সাধারণ জ্ঞান: এ অংশে ভালো করতে হলে নিয়মিত পত্রিকা পড়া, দেশি-বিদেশি সমসাময়িক খবরগুলো নিজের আয়ত্তে আনতে হবে। বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং রোগব্যাধি সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, বিভিন্ন জেলার আয়তন, অর্থনীতি প্রভৃতি সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, দিবস, পুরস্কার ও সম্মাননা, সাম্প্রতিক ঘটনা— এসব থেকে দুই থেকে চারটি প্রশ্ন পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বাজারে সাধারণ জ্ঞানের বিভিন্ন প্রকাশনীর বই পড়লেও ভালো করা যাবে। এছাড়া প্রিলিমিনারি পরীক্ষা সহায়িকা বাজার থেকে কিনে পড়ে নিতে পারেন।