নাম ঘোষণা হতেই ছোট মুখে সেই চেনা লাজুক হাসি। ছোট পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া। মঞ্চে ওঠে আইপিএল চেয়ারম্যানের হাত থেকে নিলেন স্মারক চেক ও ট্রফি। মুস্তাফিজুর রহমান এবারের আইপিএলের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার।
টুর্নামেন্ট জুড়ে মুস্তাফিজের যা পারফরম্যান্স, তাতে এই পুরস্কার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ফাইনাল শেষে সেই ঘোষণা এলো। পুরস্কার উঠল মুস্তাফিজের হাতে।
আইপিএলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভোটাভুটিতে ৮৩.২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী যোজন যোজন দূরে। বেঙ্গালুরুর লোকেশ রাহুল পেয়েছেন ৬.৫ শতাংশ ভোট। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩.৭ শতাংশ।
টুর্নামেন্টে স্রেফ একটি ম্যাচই মুস্তাফিজ খেলতে পারেননি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে। বাকি ১৬ ম্যাচ খেলে উইকেট ১৭টি। যৌথভাবে টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৬.৯০। কমপক্ষে ২০ ওভার বোলিং করাদের মধ্যে যেটি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কিপটে বোলিং।
তবে পরিসংখ্যানই সব কিছু নয়। মুস্তাফিজ আইপিএল মাতিয়েছেন তার জাদুকরী স্কিল দিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাবের বছরেই যেভাবে বিস্ময় ছড়িয়েছিলেন, হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম বড় নাম; প্রথমবার আইপিএলে গিয়েও দেখিয়েছেন নিজের সেই প্রতিভা ও সামর্থ্যের ঝলক। প্রথমবারের মত একা দেশের বাইরে যাওয়া, দীর্ঘসময় থাকা এবং ভাষার দূরত্ব, সব কিছু জয় করেছেন বোলিং সামর্থ্য দিয়ে।
দারুণ স্লোয়ার ও দুর্বোধ্য কাটার তো বরাবরই তার বড় সম্পদ। আইপিএলে দেখিয়েছেন, ইয়র্কারেও কতটা দক্ষ হয়ে উঠেছেন এত দ্রুতই। ২০ বছর বয়সেই রেখেছেন পরিণত ক্রিকেট মস্তিষ্কের প্রমাণ। তার স্কিল ও ক্রিকেট মস্তিষ্কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে টুর্নামেন্ট জুড়ে বর্তমান-সাবেক অনেক তারকা ক্রিকেটার, বিশেষজ্ঞরা।
সব মিলিয়ে যোগ্য হাতেই উঠেছে এই পুরস্কার।
Courtesy: Bdnews24