এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হবার সাথে সাথেই প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর স্বপ্ন থাকে দেশের বড় ও উচু মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের জায়গা করে নেওয়ার। এক্ষেত্রে দেশের অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীর স্বপ্ন থাকে দেশের বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় ভর্তি হতে হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু কোন বিশ্ববিদ্যালয় আপনার জন্য ভালো হবে? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক ভালো? কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট আপনার জন্য ভালো হবে? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব ফ্যসিলিটি কেমন? অনেক প্রশ্নই থেকে যায় মনে তাই ভর্তি হবার আগে অন্যের শোনা কথায় কান না দিয়ে নিজের বিচার করতে শিখুন, আর এই জন্যই এই আর্টিকেল।
১। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত কি না জেনে নিনঃ বিশ্ববিদ্যালয়টি ইউজিসি বা ইউনিভার্সিটি গ্রান্ড কমিশন এর থেকে স্বীকৃত কি না এটা জেনে নিন। এর জন্য আপনার উচিৎ ইউ জি সি এর ওয়েব পেজ থেকে ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাবতীয় তথ্য দেখে আসা। অনুনোমদিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নিজের ক্যারিয়ার শেষ করবেন না।
২। বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং যাচাই করুনঃ এখন অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যারা অনেক বিচার-বিবেচনা করে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ঘোষনা করে। এসব সাইট গুলো ঘুরে দেখে আসুন ভার্সিটির পজিশন কোন পর্যায়ের।
৩। আপনার পছন্দের বিষয় সেখানে সকল সুযোগ সুবিধা আছে কি নাঃ এটা অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়, মনে করুণ আপনি ইলেকট্রিক এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দেখতে হবে এই বিষয়ের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় কতটা প্রস্তুত, পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা এখানে আছে কি না, শিক্ষকেরা মান সম্মত লেকচার দিতে পারে কি না, এখানকার সিলেবাস স্ট্যান্ডার্ড কি না। এসব কিছু জেনেই তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন।
৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ এর হিসাব জেনে নিনঃ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই কখনও ভর্তি হয়ে যাবেন না, আপনি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ খরচের হিসাব জেনে নিবেন। অনেক সময় অনেক খরচের কথা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো আগে উল্লেখ করে থাকে না পরে সেটা আপনার জন্য বিপত্তি হতে পারে। আর হ্যাঁ নিজের সামর্থ্য বিচার করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন।
৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে কি না জেনে নিনঃ বর্তমানে সরকার সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যেতে বাধ্য করছে। এরপর ও আদালতে নির্দেশ না মেনে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই নিজেদের ভাড়ার ক্যাম্পাসে ক্লাশ চালিয়ে যাচ্ছে। যেকোন মূহুর্তেই সেই সব ক্যাম্পাসগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে এসময় বিপদে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা। এসকল ক্যাম্পাস হতে দূরে থাকুন।
৬। জেনে নিন আপনার ক্যাম্পাসটি বৈধ্য কি নাঃ এখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই ব্যাঙ্গের ছাতার মত একই নামে অনেক ক্যাম্পাস খুলে বসেছে এবং এদের অধিকাংশ ক্যাম্পাসের কোনই অনুমতি নেই। সরকার চাইলেই যেকোন মুহুর্তেই বন্ধ ঘোষনা করে দিতে পারে এসব ক্যাম্পাসগুলো।
অতএব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হবার সময় উপরে উল্লেখিত প্রতিটি পয়েন্ট স্মরণে রাখুন নয়ত আপনার জীবনের মূল্যবান টাকা গুলোর সাথে আপনার অতি মূল্যবান সময় গুলোও হারয়ে যেতে পারে।