মেশিন লার্নিং (পর্ব ০১)

0

মেশিন লার্নিং,আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেয়(এআই) একটা বিভাগ যেখানে কিনা ইন্টারঅ্যাক্টিভ এক্সপেরিয়েন্সে বা ডেটাসেট ব্যবহারের মাধ্যমে এক একটি ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম তৈরি করা হয় এবং আমাদের জানা উচিত যে মেশিন লার্নিং বিভাগের এর সবচেয়ে বেসিক কাজ হল ডেটার শ্রেণিবিন্যাস করা বা ডেটা ক্ল্যাসিফিকেশন করা। যেমন, উদাহরণ-স্বরূপ বলা যেতেই পারে, প্রতিনিয়তই আমাদের অসংখ্য মেইল আসে এবং তা থেকে সব স্প্যামগুলোকে ছেঁকে প্রয়োজনীয় গুলোকেই শো করানো। মেশিন লার্নিং হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেয়র একটি বিশেষ ধরণের সাবফিল্ড। এটা এমন এক ধরণের প্রসেস যেটা কোন মেশিন বা সফটওয়্যরকে কোন কিছু নিজে নিজে শিখতে সাহায্য করে আর বেশি আপডেট হতে সাহায্য করে।

                                                   

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সেয়(এআই) এর মেশিন লার্নিং, সাবফিল্ডটি কিন্তু কম্পিউটার প্রকৌশল বিজ্ঞান বিভাগের বেশ জনপ্রিয় একটি বিষয়। মেশিন লার্নিং প্রকৃতপক্ষে এমন একটি বিজ্ঞান যা কোন মেশিনকে সকল প্রকার সম্ভব্য কন্ডিশন বলে দেয়া হলে সেই মেশিনটি আপনি থেকেই তার পরবর্তী ধাপগুলোর পর্যায় অনুযায়ী আগাতে শুরু করে এবং প্রয়োজনে সম্ভব্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করে। ধরুন, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, যেমন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বের সময়টাতে আমরা যদি কম্পিউটারের মাধ্যমে ঐ মেশিনের প্রোগ্রামকে পূর্বের ঘটিত সকল ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ডেটা দিয়ে দেই, তাহলে মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করার কারণে ঐ মেশিনটি আমাদের দেওয়া ডেটা এনালাইসিস করে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের অবস্থান,প্রকৃতি ইত্যাদির পূর্বাবাস জানাবে। আমাদের আর বারবার করে ডাটা ইনপুট দিতে হবে না ও নিজেই নিজের প্রোগ্রামের সাহায্যে আগের ডেটা এনালাইসিস করে বর্তমান ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের অবস্থান,প্রকৃতি দেখে আমাদের বলে দিবে বর্তমান অবস্থা এবং আগামীতে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস কতটা সবল বা দুর্বল হবে। বলতে গেলে এটাই মেশিন লার্নিং এর আমাদের সবার জানা একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

                                           

আবার মেশিন লার্নিং এর ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই খুব সুস্পষ্ট করে ঐ প্রোগ্রামের অ্যালগরিদম ও ডেটা এনালাইসিসের নির্দেশনা দিয়ে দিতেই হবে নতুবা মেশিনটি আশানুরূপ ফলপ্রসূ না ও হতে পারে এবং না হবার সম্ভবনাই বেশি। আজকের দিনে বড়-ছোট প্রায় সব ধরনের অ্যাপেও মেশিন লার্নিং এর বহুল ব্যবহা্র লক্ষ্যনীয়। যেমন, ইমেজ রিকগনিশন, ডেটা মাইনিং, এক্সপার্ট সিস্টেম, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং সহ কম্পিউটার প্রকৌশল বিজ্ঞানসহ এআই এর ভুবনেও এই মেশিন লার্নিং এর ব্যবহার অনস্বীকার্য। মেশিন লার্নিং এর প্রয়োগ দিনকে দিন উত্তর উত্তর বৃদ্ধি হয়েই চলেছে, এবং হবেই।

আর কিছু প্রয়োগ মূলক সংক্ষিপ্ত অলোচনায় আশা যাক। আমরা বিভিন্ন ধরনের গেইম আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে খেলে থাকি তার ফলে এই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের গেমিং এর জন্য ব্যবহৃত অ্যাপটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের গেইমের আপডেট ভার্সন এবং কি কি ধরণের নূতন নূতন গেইম আছে বা আসছে তার প্রজ্ঞাপন(Notification) শো করে। আপনাকে নুতন করে বারবার গেম খুঁজতে হচ্ছে না। এর পেছনেও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি প্রয়োগ। আবার আর একটা  উদাহরণ দেই “Optical Character Recognition/Reader” ছবি থেকে লেখার  ক্যারেকটার গুলো দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেয় কোনটা কি এবং তারপর পড়ে শুনায়। আবার ক্লাসিফিকেশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে আমাদের ইমেলে আসা কোনটা স্প্যাম, কোনটা স্প্যাম না, তা বের করতে সাহায্য করে এই মেশিন লার্নিং।

আজ এ পর্যন্তই। তবে এখানেই কিন্তু শেষ নয় মেশিন লার্নিং  আরও খবর, থাকছে পর্ব-২ তে। দ্বিতীয় পর্ব পাঠের আমন্ত্রণ রইল সকলের। ধন্যবাদ ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *