আপনি নিশ্চয় কোনো নতুন এবং ভালো মানের চাকরি খুজছেন? নিশ্চই চাকরির জন্য ঘুরাঘুরি করে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন? চাকরি পেলেও আপনার চাহিদা অনুযায়ী সেটা হচ্ছে না? তাহলে নিচের কৌশল গুলো আপনার জন্য
১) সমালোচনাযোগ্য হোন
আপনি নিশ্চই চাননা মানুষ আপনার দূর্বলতা গুলো নিয়ে সমালোচনা করুক। কিন্তু নিজেকে সমালোচনার যোগ্য করে তুলতে পারলে হয়তো আপনি নতুন কিছু জিনিস শেখার সুযোগ পাবেন। আপনার আশে পাশের মানুষ গুলোর কাছে নিজের দূর্বলতা গুলো প্রকাশ করুন। তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন কিভাবে এর থেকে আপনি উত্তোলিত হতে পারবেন। প্রফেশনালদের এডভাইস নিতে সব সময় চেষ্টা করুন। তাদেরর সাথে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করে সময় দেয়ার চেষ্টা করুন।
২) সব সময় নিজের পছন্দসই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
আশে পাশে সব সময় একটা জিনিসই শোনা যায় ‘সব সময় নিজের পছন্দসই কাজ গুলোকেই কর’! কিন্তু সত্যিকার অর্থে এতে করে আপনি নিজেকে অন্যান্য অনেকের চেয়ে পিছিয়ে রাখছেন। বাজার আপনার জন্য বসে থাকবে না। আপনি আপনার পুরাতন কাজ নিয়ে বসে থাকলেও কোম্পানি গুলোতে নতুন নতুন প্রোডাক্ট আসবে। সে সম্পর্কে যদি আপনি ধারনা না নে তাহলে আপনি যে অবস্থানে আছেন সে অবস্থানেই থাকবেন। একটা সময় নিজের পজিশন ধরে রাখা এবং নতুন কিছুর সাথে আপনার যোগ্যতাকে ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
৩) নিজের অবস্থান তৈরি করুন।
সব সময় একটা ভালো চাকরির স্বপ্ন দেখা আর চাকরি পাওয়ার পর যে অবস্থানে থাকবেন সে অবস্থানে চিরকাল অবস্থান করার ইচ্ছে আপনাকে বেশি কিছু দিতে পারবে না। তাই আপনার কর্মক্ষেত্রে আপনার নতুন অবস্থান তৈরি করুন। এর জন্য যা করতে হয় করুন। পড়ুন, জানুন। আপনার উপরের অবস্থানে কাজ করা লোকটা যা জানে তার চাইতে একটু বেশি জানার চেষ্টা করুন। যাতে করে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন আরো বেশিজান্তা হিসেবে।
৪) কিভাবে মনযোগ দিয়ে শোনতে হয় শিখুন।
আবেলা বলেছেন, “মনযোগ দিয়ে শোনতে জানা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এটি আপনার জীবনের সব চাইতে বিস্ময়কর দক্ষতা।” তিনি আরো বলেন, “বিজ্ঞের কথা চালিয়ে যাওয়ার প্রধান কৌশল হচ্ছে ভালোভাবে আরেকজনের কথা শুনা। এবং একজন চাকরি প্রার্থীর জন্য ইন্টারভিউ কক্ষে এটাই সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ। শেখার চেষ্টা করুন, কখন বলতে হয়, কখন থামতে হয় এবং কখন প্রশ্ন করতে হয়।”
৫) আপনি যে চাকরিটার প্রেমে পরেছেন তার পিছনে সব সময় ছুটা থেকে সংযত থাকুন।
মার্কেটপ্লেস গুলোতে হাজার হাজার ভালো চাকরি আছে। কিন্তু আপনি শুধু একটা চাকরির পিছনেই ছুটছেন যেটা আপনার পছন্দের। তাতে বরং আপনার বেশি সময় অপচয় হবে। তার চেয়ে ভালো হচ্ছে ভালোমানের একটি চাকরিতে যোগ দিন। তারপর আপনার পছন্দশই চাকরিটির জন্য অপেক্ষা করুন। এতে করে জীবনের মূল্যবান সময় টুকু বাচাতে পারবেন।
৬) উপর থেকে শুরু করে নিচের নামুন।
উপরের অবস্থান থেকে নিচে নামতে কেউই চায় না। কিন্তু আপনি যখন একটা উপরের অবস্থানে চাকরি করে নিচের জিনিস গুলোর প্রতি মনযোগ দিবেন। যখন নিন্মবর্তী কাজ গুলোতে কি কি যোগ হচ্ছে দেখে শিখে ফেলবেন তখন আপনি আরো নতুন কিছু আশা করতে পারবেন।
৭) উপর ওয়ালাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করুন।
নিজের ক্যারিয়ারকে আরো অগ্রসর করার মূল মন্ত্র হচ্ছে উপর ওয়ালা বা আপনার চাইতে ভালো অবস্থানে আছে এমন মানুষদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা। এতে করে আপনি যেমন নতুন কিছু শেখার সুযোগ পাবেন তেমনি আপনার অবস্থানকে আগানোর জন্যেও বেশ কার্যকরী প্রন্থা এটি।
৮) চাকরি বিজ্ঞপ্তি দেখেই চাকরির জন্য আবেদন থেকে বিরত থাকুন।
এডনি বলেছেন, “আপনি যখন অনলাইন বা অন্য কোনো মাধ্যমে আপনার ইন্টারেস্টেড চাকরির বিজ্ঞাপন দেখেছেন তখন সাথে সাথে আবেদন না করে আপনি আগে দেখুন, তাদের সম্পর্কে জানুন, খুটিনাটি বিষয় নিয়ে রিসার্চ করুন, ঐ কোম্পানির কোনো কর্মচারির সাথে কথা বলুন এরপর চাকরির জন্য আবেদন করুন। এতে করে আপনি পরবর্তিতে যে কোনো ঝামেলা এড়াতে পারবেন।”
৯) নিজের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক করুন।
“একজন ইন্টারভিউদাতার জন্য বডি ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” কথাটি বলেছেন এবেলা। তিনি আরো বলেন, “আপনার হাত কাপছে কিনা বা আপনার অন্য কোনো দেহ ভঙ্গী দিয়ে যেন না বুঝা যায় আপনি ভয় পাচ্ছেন। এতে আপনার কনফিডেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে।”
১০) পছন্দসই কোম্পানি গুলোর সেরা ফ্যান হিসেবে প্রকাশ করতে চেষ্টা করুন।
ইন্টারভিউ কক্ষে নিজেকে এমন ভাবে উপস্থাপন করুন, যেন মনে হয় আপনি ঐ কোম্পানির সেরা ফ্যানদের মাঝে অন্যতম। আপনি তাদের প্রোডাক্ট, তাদের কালচারাল দিক সহ সব দিক গুলো ফলো করেন এমন একটা ভাব আনুন। কথা বলার সময় তা প্রকাশ করুন।