“খালিদের ইয়ারমুখ যুদ্ধ”-কিস্তিঃ৭/ ২য় দিনের যুদ্ধ : মেজর ডি এইচ খান

৭৩ বছর বয়েসী আবু সুফিয়ান তার দীর্ঘ জীবনে অসংখ্যবার যুদ্ধের জন্য অস্ত্র ধারন করেছেন, সম্মুখ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তাই তার জন্য নতুন কিছু না। কিন্তু জেনারেল গ্রেগরির মত রোমান ধাঁচে লড়াই করা প্রতিপক্ষ তিনি এই প্রথম মোকাবেলা করছেন। ভারী আর লম্বা শিল্ডে সজ্জিত বাইজান্টাইন এই সৈন্যরা পাশাপাশি একজনের সাথে আরেকজনের শিল্ড জোড়া লাগিয়ে এতোটাই ক্লোজড ফর্মেশনে এগুচ্ছে যে দেখলে মনে হয় একটা নিরেট দেয়াল এগিয়ে আসছে। সেই দেয়ালের ফাঁকে ফাঁকে তাদের বর্শার লম্বা ফলা বের হয়ে আছে।
মুসলিম তীরন্দাজদের ফ্ল্যাট ট্র্যাজেক্টরিতে ছোড়া তীর কোন কাজেই আসছে না। আর হাই এঙ্গেলে তীর ছোড়া মাত্র শত্রুর প্রথম সারির পেছনের সবাই যার যার ঢাল মাথার ওপর তুলে দিয়ে কচ্ছপের খোলের মত নিজেদের ঢেকে ফেলছে। গ্রেগরির বাইজান্টাইনদের এডভান্সের গতি খুব ধীর কিন্তু তারা বিরতিহীন এগুচ্ছে।

ইয়াজিদের ক্বার ওয়া ফার কাউন্টার এটাকও কোন কাজে আসছে না। কারন কাউন্টার এটাকে যেতে শুরু করা মাত্র গ্রেগরির ফ্রন্টের সৈন্যরা হাঁটু গেঁড়ে বসে তাদের শিল্ডের দেয়াল ঢালু করে পেছনের তীরন্দাজদের লাইন অফ সাইট ক্লিয়ার করে দিচ্ছে আর তীরন্দাজরা বৃস্টির মত তীর ছুড়ছে দুই এঙ্গেলে। তারপরেও যদিওবা ওদের ফ্রন্টে পৌছানো যায় তখন ওদের শিল্ডের দেয়ালে আটকা পরতে হয়। মুসলিম যোদ্ধাদের কেউ মাটিতে পড়ে যাওয়া মাত্র ওরা শিল্ড একটু ওপরে তুলে তাকে ভেতরে টেনে নিয়ে ফের শিল্ড নামিয়ে দেয়। আর সেট ফরোয়ার্ড ফোর্সের সাহায্যে ঘোড়া নিয়ে এই শিল্ডের দেয়াল ভেদ করা গেলেও ওদের ম্যান টু ম্যান বাঁধা শিকলে হোঁচট খেয়ে ঘোড়া উল্টে সৈন্য হারাতে হচ্ছে।

একমাত্র সুবিধা করা যাচ্ছে ওরা যখন এসল্ট করছে তখন। কারন একমাত্র তখনি শিল্ডের দেয়াল আলগা হলে ওদের ফাইলের ভেতর ঢুকে ক্লোজ কোয়ার্টারে তরবারি চালান যাচ্ছে। কিন্তু এসল্টে আসার আগে যে পরিমান তীর ছুড়ে আসে তাতে তাবিয়া ফর্মেশনে ফ্রন্ট ইন্ট্যাক্ট রাখাই দুস্কর। তাই দুপুর গড়ানোর আগেই মুসলিম লেফট উইং পিছু হটতে বাধ্য হল।


ইয়ারমুখের যুদ্ধঃ ১৬ আগস্ট ৬৩৬ঃ ২য় দিনঃ বাইজান্টাইন আক্রমন পর্ব

ওদিকে মুসলিম রাইট উইং এ আমর বিন আসের ডিভিশনের অবস্থা আরো শোচনীয়। ফজরের ওয়াক্তে বাইজান্টাইনরা এগিয়ে আসতে শুরু করতেই তরিঘরি করে সবাই যার যার ব্যাটেল ফর্মেশনে গিয়ে দাড়িয়েছিল। ভাগ্যিস বাইজান্টাইনরা এমন করতে পারে ভেবে রাতেই খালিদ নো ম্যানস ল্যান্ড বরাবর আউট পোস্টের স্ট্রেন্থ বাড়িয়েছিল। এরাই সকালে বাইজান্টাইন এডভান্সটা অনেকটা স্লো করে দিয়ে মুসলিম মেইন ফোর্সকে রেডি হবার জন্য কিছুটা বেশি সময় এনে দিয়েছিল। ফলে মুসলিম আর্মিকে অপ্রস্তুত অবস্থায় এটাকের বাইজান্টাইন পরিকল্পনাটা ভেস্তে গেল।

ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর হাতাহাতির মাধ্যমে বাইজান্টাইন সেন্টার মুসলিম সেন্টারকে এনগেজড রাখল ভোর থেকেই। কিন্তু দুই উইং/ফ্ল্যাঙ্কে তারা হার্ড প্রেস করতে লাগল। দুপুরের আগেই জেনারেল কানাত্বির পরপর তিন বার আমরের আর্মিকে আক্রমন করল। প্রথম দুই এটাক রিপালস করার পর তৃতীয়বার আমরের কাছে ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ড করবার কিংবা কাউন্টার এটাক করার মত কোন ফ্রেশ ট্রুপসই অবশিষ্ট থাকল না। অগত্যা তার ফর্মেশনে ভাংগন ধরল আর মুসলিম রাইট ফ্ল্যাঙ্ক পিছু হটতে শুরু করল। এমন সময় কানাত্বির ফের এটাক রিনিউ করে এগিয়ে আসতেই মুসলিম রাইট উইং হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ল। এমন সময় আমর তার ক্যভুলরি রিজার্ভ লঞ্চ করে একটা কাউন্টার এটাক করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সেই এটাক বাইজান্টাইনরা রিপালস করে দিল।

মুসলিম ক্যভুলরির কাউন্টার এটাক রিপালসড হতেই সৈন্যরা সব উর্ধশ্বাসে তাদের ক্যাম্পের দিকে পালতে শুরু করল। সবার আগে ক্যাম্পে পৌছালো ঘোড় সওয়াররা এবং এই অবস্থায় ক্যাম্পে থাকা মুসলিম নারীরা তাবুর ডান্ডা আর পাথর নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলেন। স্ত্রীদের সামলানোর চেয়ে বাইজান্টাইনদের মোকাবেলা করা নিঃসন্দেহে সহজতর। তাছাড়া তাদের স্ত্রী সন্তানেরা কিছুক্ষনের ভেতরই বাইজান্টাইনদের দ্বারা নিগৃহীত হতে যাচ্ছে দেখে আমরের সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে গেল।
প্রায় একই সময়ে ইয়াজিদের ক্যভুলরি কাউন্টার এটাক ফেইল করল আর তার সৈন্যরাও পালাতে শুরু করল। এই পলায়নে সবার সামনে ছিলেন বৃদ্ধ আবু সুফিয়ান এবং তিনি ক্যাম্পের কাছে পৌছাতেই মুসলিম নারীদের দেখা পেলেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন তারই স্ত্রী হিন্দ বিনতে উতবা। ভয়ঙ্কর এই রমনী তাকে দেখে পাথর ছুড়তে ছুড়তে উহুদের যুদ্ধে গাওয়া গানটা আবার গেয়ে উঠলেন।

We are the daughters of the night;
We move among the cushions
With a gentle feline grace
And our bracelets on our elbows.
If you advance we shall embrace you;
And if you retreat we shall forsake you
With a loveless separation.

অগত্যা আবু সুফিয়ান সময় নস্ট না করে ফ্রন্টের দিকে ঘোড়ার মুখ ঘুরালেন।এবার তাদের সাথে মুসলিম কিছু নারীও চললেন ফ্রন্টের পথে। নারী যোদ্ধাদের সহ আবু সুফিয়ানকে ফিরতে দেখে ইয়াজিদের লেফট উইং ফের জেগে উঠল।


ইয়ারমুখের যুদ্ধঃ ১৬ আগস্ট ৬৩৬ঃ ২য় দিনঃ আমরের বাহিনীকে উদ্ধার

মুসলিম সৈন্যরা ফ্রন্টে ফিরতেই খালিদ আমর আর ইয়াজিদ কে নির্দেশ দিলেন যার যার অবস্থানে থেকেই নিজ নিজ ফ্রন্ট রেস্টোর করার জন্য। ইয়াজিদ আর আমর সর্বশক্তি দিয়ে রোমান এডভান্স আটকে দিয়ে খালিদের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় থাকলেন।
বাইজান্টাইনরা মুসলিম আর্মির এই রিনিউড রেজিস্ট্যান্সে থমকে গেল। অবশেষে তারা ফ্রেস আরেকটা করে এটাক লঞ্চ করার প্রস্তুতি নিতে লাগল। একটা এটাক করার পর পেছন থেকে ফ্রেশ ট্রুপস এনে নতুন একটা এটাক লঞ্চ করতে বেশ খানিকটা সময়ের প্রয়োজন হয়। আর খালিদ সেই সুযোগটাই নিতে চাইলেন।

প্রথমেই তিনি কায়েস কে তার ক্যভুলরি রেজিমেন্ট নিয়ে আমরের বাহিনীর পেছন দিক দিয়ে ঘুরে কানাত্বীরের বাহিনীর বাম ফ্ল্যাঙ্কে পাঠিয়ে দিলেন। এরপর নিজে তার মোবাইল গার্ড নিয়ে কানাত্বিরের বাহিনীর ডান ফ্ল্যাঙ্কে অবস্থান নিলেন এবং একযোগে দুই দিক থেকে ক্যভুলরি চার্জ করলেন। সুযোগ বুঝে আমরও সামনে থেকে প্রেস করলেন। মুহুর্তের ভেতর ত্রিমুখী আক্রমনে কানাত্বিরের ফ্রন্ট আর ফ্ল্যাঙ্ক দুমড়ে গেল আর হতবিহবল কানাত্বির তার আর্মিকে রিট্রিট করবার নির্দেশ দিতে বাধ্য হলেন। আমরের বাহিনী বাইজান্টাইনদের পিছু ধাওয়া করে গেলেন এবং সকালে যে লাইনে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন সেখান অবধি গিয়ে থেমে গেলেন। বাইজান্টাইনরাও তাদের লাইনে ফিরে গিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নেবার চেষ্টা শুরু করল।


ইয়ারমুখের যুদ্ধঃ ১৬ আগস্ট ৬৩৬ঃ ২য় দিনঃ ইয়াজিদের বাহিনীকে উদ্ধার

মুসলিম রাইট উইং স্ট্যাবিলাইজ করার সাথে সাথে খালিদ তার মোবাইল গার্ড নিয়ে এবার মুসলিম লেফট উইং এ ইয়াজিদের বাহিনির দিকে ছুটলেন। ইতোমধ্যে ইয়াজিদ তার ক্যভুলরি রিজার্ভ কমান্ডার আমির ইবন তুফায়িল কে গ্রেগরির বাহিনীর বামে পাঠিয়ে দিলেন যেন খালিদের মোবাইল গার্ড গ্রেগরির বাহিনীর ডান ফ্ল্যাঙ্কে আক্রমনের সুযোগ পায়।

খালিদ আন্দাজ করে নিয়েছিলেন যে কানাত্বিরের বাহিনীকে দুই ফ্ল্যাঙ্ক থেকে ক্যভুলরি নিয়ে আক্রমনের খবরটা ইতোমধ্যে ভাহানের কাছে পৌছে গেছে এবং গ্রেগরির ক্ষেত্রেও যেন খালিদ সেই সুযোগ না পায় ভাহান তাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই আমরের ফ্ল্যাঙ্ক থেকে ইয়াজিদের ফ্ল্যাঙ্কে আসার পথেই তিনি ভাহানকে ধোঁকা দিতে তার মোবাইল গার্ডের উপ অধিনায়ক জাররারকে এক রেজিমেন্ট ঘোড় সওয়ার নিয়ে আবু উবায়দা আর ইয়াজিদের বাহিনির মাঝখান দিয়ে ঢুকে পড়ে বাইজান্টাইন রাইট সেন্টারের ফ্ল্যাঙ্কে আক্রমন করতে বললেন।

মুসলিম আর বাইজান্টাইন সেন্টার সকাল থেকেই নো ম্যানস ল্যান্ড বরাবর লড়ছে। কিন্তু গ্রেগরি ইতোমধ্যে ইয়াজিদের বাহিনিকে অনেকটাই পিছিয়ে এনেছে। ফলে এই গ্যাপের ভেতর দিয়ে ফের খালিদ আক্রমন করতে পারে, এমনকি গ্রেগরির বাহিনীকে বাইজান্টাইন মূল বাহিনী থেকে কাট অফও করে দিতে পারে। এমন আশংকায় বাইজান্টাইন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা জেনারেল দাইরজান গ্রেগরির বাহিনীর ফ্ল্যাঙ্ক প্রোটেক্ট করবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক এমন সময় জাররার তার ক্যভুলরি নিয়ে বাইজান্টাইন রাইট সেন্টারে চার্জ করে বসলেন। তার আক্রমনের শক এতোটাই প্রবল ছিল যে বাইজান্টাইনরা গুছিয়ে উঠবার আগেই তিনি দাইরজানের কাছে পৌছে গেলেন এবং দাইরজানকে প্রথম সুযোগেই হত্যা করলেন।

ফ্ল্যাঙ্ক থেকে হঠাত যুদ্ধ কিভাবে সেন্টারে ছড়িয়ে পড়ল সে কনফিউশন ক্লিয়ার করতে বাইজান্টাইনরা কিছু সময় নিয়ে ফেলল। কিন্তু যখন তারা গুছিয়ে উঠল তখন জাররারের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠল। তার উপর নির্দেশ ছিল ডাইভার্সন ক্রিয়েট করার, আর ডাইভার্সন যুদ্ধের উদ্দেশ্যই হল মূল এটাক থেকে শত্রুর দৃস্টি কিছুক্ষনের জন্য অন্যত্র সরিয়ে নেয়া। অতএব সেন্টারে বাইজান্টাইনরা যখন জাররারের বাহিনীটাকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করল, তখন সে দ্রুত বাইজান্টাইন এন্সার্কেলমেন্ট ভেঙ্গে ফিরে এল।

জাররার যখন বাইজান্টাইন সেন্টারে আক্রমন করেছিল, প্রায় একই সময়ে খালিদও তার মোবাইল গার্ড নিয়ে গ্রেগরির বাম ফ্ল্যাঙ্কে আছড়ে পড়লেন। রি ইনফোর্স্মেন্টের কোন আশা নেই বুঝে অগত্যা গ্রেগরি পিছু হটলেন। দিন শেষে তারা তাদের লাইনে ফিরে গেলেন আর ইয়াজিদও তার সকালের লাইন ফিরে পেলেন।

দিনশেষে উভয় বাহিনী তাদের নিজ ক্যাম্পে ফিরে গেল। আমরের বাহিনীর অবস্থা সবচে শোচনীয়। তারপরও তারা শোকর গুজার করল কারন খালিদের কারনে দিনশেষে তারা তাদের হারানো গ্রাউন্ড আবার ফিরে পেয়েছে। ডিফেন্সিভ ব্যাটেলের দৃস্টিকোন থেকে এই দিনে বিজয় আসলে মুসলিমদেরই হয়েছে, কেননা তারা বাইজান্টাইন সব আক্রমন ফিরিয়ে দিয়ে তাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠাতে পেরেছে।
ওদিকে বাইজান্টাইন শিবিরে হতাশার মেঘ ছায়া ফেলেছে। দিনশেষে প্রচুর হতাহত নিয়ে সব কয়টা এটাক ব্যর্থ হবার পাশাপাশি দাইরজানের মত একজন অভিজ্ঞ আর নির্ভরশীল কমান্ডার হারানো অনেক বড় ক্ষতি। তাই ভাহান এবার তার প্রত্যাশার পরিমান কমিয়ে আনতে বাধ্য হলেন। তৃতীয় দিনের যুদ্ধে তিনি ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলিম রাইট ফ্ল্যাঙ্কে কেই টার্গেট করবেন বলে মনস্থ করলেন।

দাইরজানের পরিবর্তে তিনি জেনারেল কুরিনকে তিনি দায়িত্ব দিলেন বাইজান্টাইন রাইট সেন্টার সামলানোর আর আবু উবায়দাকে এনগেজড রাখার। গ্রেগরি রাখবেন ইয়াজিদ কে। জেনারেল কানাত্বির গোটা বাইজান্টাইন লেফট উইং আর লেফট সেন্টার নিয়ে কাল আমর আর সুরাবিলের বাহিনীর মাঝখান দিয়ে ঢুকে মুসলিম বাহিনীর পেছনে গিয়ে খালিদের মোবাইল রিজার্ভকে এনগেজ করার চেষ্টা করবে। এরপর মূল মুসলিম বাহিনী থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া আমরের বাহিনীকে প্রথমে ধ্বংস করে পরে সুরাবিলের ওপর একযোগে আক্রমন করা হবে। মুসলিম রাইট সেন্টার আর রাইট উইং হারানোর পরও যদি মুসলিমদের লড়াই করার খায়েশ থাকে তখন কানাত্বির আবু উবাইদার বাহিনীকে তার ডান আর পেছন থেকে কন্টেইন করবে, এবং জেনারেল কুরিন আর গ্রেগরি বাকি কাজ সেরে ফেলবে।

কিন্তু বাইজান্টাইনরা তখনো আঁচ করতে পারেনি খালিদ বিন ওয়ালিদ কী চিজ।
(ক্রমশ…)

কিস্তিঃ এক

কিস্তিঃ দুই

কিস্তিঃ৩

কিস্তিঃ চার

কিস্তিঃ পাঁচ

কিস্তিঃ৬/১ম দিনের যুদ্ধ

 

Writer : Major Del H Khan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *