উইন্ডোজ এর অতীত ও ভবিষ্যত ( পর্ব ১)

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা কমবেশি সবাই জানি যে কম্পিউটার একটা যন্ত্র ছাড়া কিছুই না। এটা নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না। এটাকে পরিচালনা করার জন্য সর্বপ্রথম যে জিনিসটার প্রয়োজন পড়ে সেটা হল অপারেটিং সিস্টেম। পৃথিবীতে অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। কিন্ত এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম। কারন সারা পৃথিবীতে যেসকল অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তাদের মাঝে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি। বর্তমান পার্সোনাল কম্পিউটার এর বাজারের ৯০ ভাগই মাইক্রোসফট এর দখলে।

চলুন কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সম্পরকেঃ

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর নির্মাতা কোম্পানি হল বর্তমানের প্রযুক্তি জায়েন্ট মাইক্রোসফট। এটা মূলত গ্রাফিক্স বেজড অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজ এর প্রথম যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালের ২০ নভেম্বর ।

MS-DOS:

মাইক্রোসফট অপারেটিং সিস্টেম এর  প্রথম ভার্সন এর নাম ছিল MS-DOS। এটা কমান্ড এর মাধ্যমে চালাতে হত। এর পর থেকেই উইন্ডোজ এর যাত্রা শুরু হয়।

Windows 1.0 (1985)

এটি উইন্ডোজ জগতের প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। এটি ১৯৮৫ সালে বের হয়। এটি একটি গ্রাফিকেল উইন্ডোজ ছিল। এতে ১৬ বিটের মাল্টিটাস্কিং শেল ছিল। এতে একটিসময় শুধুমাত্র একটি প্রোগ্রামই চালানো যেত। এর ইন্টারফেস ছিল অনেকটা বেসিক মোবাইল এর মত।

Windows 2.0 (1987)

Windows 2.0 ১৯৮৭ সালে অবমুক্ত হয়। এতে এপ্লিকেশন অভারল্যাপিং সুবিধা যুক্ত হয়। ফলে পাশাপাশি দুইটি প্রোগ্রাম রান করা সম্ভব হয়। এতে ‘মিনিমাইজ’ ও ‘মেক্সিমাইস’ সুবিধাও যুক্ত করা হয়।

Windows 3.x (1990, 1992)

Windows 3 মাইক্রোসফট এর প্রথম সফল অপারেটিং সিস্টেম। কারন এতেই সর্বপ্রথম পরিপূর্ণ গ্রাফিক্স ইন্টারফেস আনা হয়। যার ফলে এটি আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠে। উইন্ডোজ দুটি ভার্শনে, মার্কেটে আসে। Windows 3.0 এবং Windows 3.1 । এতে ১৬কালার পর্যন্ত সাপোর্ট ছিল।

Windows 95 (1995)

১৯৯৫ সালে Windows 95 রিলিজ হয়। এর বিশেষত্ব হলো এতেই প্রথম বারের মত ৩২ বিটের আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হয়। এর গ্রাফিক্স কে আরও উন্নত করা হয়। এটি তৎকালীন সময়ে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং খুব অল্প সময়ের মাঝেই সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম এ পরিনত হয়।

 

Windows 98 (1998)

এটিও ৩২ বিট বিশিষ্ট অপারেটিং সিস্টেম। একে ১৬ বিট ও ৩২ বিট এর হাইব্রিড ও বলা হয়ে থাকে। একে পূর্বের তুলোনায় আরও উন্নত করে তোলা হয়। এতে usb hub (ইউএসবি হাব) এর সমর্থন ছিলো। এর হার্ডওয়ার সাপোর্ট কেও আরো উন্নত করা হয়। এর মাধ্যমেই প্রথম কম্পিউটারের হাইবারনেশন সিস্টেম সাথে বিশ্ববাসী পরিচিতি লাভ করে যদিও এতে অনেক লিমিটেশন ছিল। তবে এর দ্বিতীয় ভার্শনের মাধ্যমেই এটি সাফল্য লাভ করে যা ৫ই মে ১৯৯৯ সালে রিলিজ হয়।

আজ এ পর্যন্তই। উইন্ডোজ সম্পর্কে আরও জানার জন্য নজর রাখুন আগামী পোস্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *