অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক এর মতো স্টার্টআপগুলো এই প্রজম্নের সবচেয়ে বড় সাফল্য এনে দিয়েছে। ব্যাপারটা এমন যে, সাফল্যের পথটা তাঁরা নিজেরাই তৈরি করে নিয়েছে যা তাঁদেরকে আইটি ইন্ডাস্ট্রির চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা এনে দিয়েছে। অন্যদিকে, কিক্কো , রিওটভাইন, ডেভভার এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো প্রথমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করলেও কোনভাবেই বেশিদূর এগুতে পারেনি।

উদ্যোগ বিফল হবার পেছনে থাকতে পারে অনেক কারণ, অনেক যুক্তি। অসম্পূর্ণ ব্যবসায়িক মডেল, উদ্ভাবনের আতিশহ্য, একের পরেক ভুল সিদ্ধান্ত, এসবের যেকোন একটিই একটি উদ্যোগকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। অনেক রকম ঝুঁকি মাথায় রেখেই উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিতে হয়। আর তাহলে দশের মাঝে নয়টি উদ্যোগই হয়তো মাঝপথে মুখ থুবড়ে পরবে। যেকোন উদ্যোগ বিফলে যাবার পেছনের তিন গুরুত্বপুর্ণ কারণ সম্পর্কে জেনে নিন এবং সচেতন হোন।

১। দুর্বল, অসম্পূর্ণ ব্যবসায়িক মডেলঃ

“গো ফর লাঞ্চ” এর সিইও ব্র্যান্ডন ঊটলে মনে করেন, দুর্বময় ব্যবসায়িক মডেল সম্বলিত একটি উদ্যোগ বিফল হতে বাধ্য। দুর্বল মডেল হিসেবে একটি উদ্যোগকে তখন ধরা হয় যখন কোন একটি নির্দিষত বিষয়ের উপর অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়ে ব্যবসায়ের অন্যান্য দিকগুলোকে অবহেলা করা হয়। তা হতে পারে বিজ্ঞাপন, হতে পারে সময় অপচয় কিংবা প্রাথমিক পর্যায়ে একসাথে অনেক টাকা বিনিয়োগ করার মতো ভুল। একটি ভালো ব্যবসায়িক মডেলে অবশ্যই টেকসই, লাভজনক, সৎ এবং আইনসম্মত হতে হবে।

২। নির্ধারিত ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষনে ব্যর্থ হওয়াঃ

কঠিন হলেও একটি বাস্তব সত্য হলো, যখন ক্রেতারা একটি পণ্যের উপর আগ্রহ দেখাবেনা, খুব ভালো পন্য বা উদ্যোগ হলেও তা কোন কাজে আসবেনা।   ক্রেতাদের আগ্রহ এবং কেনার ইচ্ছার উপরই একটি উদ্যোগের ভবিষ্যত অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই ক্রেতা পণ্যের ব্যাপারে কতটা মনোযোগী সেটি দেখা অবশ্য কর্তব্য একজন উদ্যোক্তার।

৩। অতিরিক্ত উচ্চাশাঃ

“প্যাশন ইজ দ্যা কি টু সাকসেস” কথাটা যেমন সত্য, ঠিক তেমনি অন্ধ উচ্চাশা একটি উদ্যোগ নষত হবার পেছনে প্রধান কারণ হতে পারে। অনেক উদ্যোক্তা আছে যারা নিজেদের ব্যবসায় নিয়ে এতোটাই উচ্ছ্বসিত থাকেন যে প্রতিষ্ঠানের দুর্বল দিকগুলো প্রায়ই দৃষ্টি অগোচরে থেকে যায়। এখানে উদ্যোগ নিয়ে আগ্রহ এবং উচ্চাশার মধ্যে অনেককিছু গুলিয়ে ফেলেন একজন উদ্যোক্তা। আর এই অতি উচ্চাশার ভীরেই হয়তো উদ্যোগ হারিয়ে যেতে পারে চিরতরে।

তাহলে একটি উদ্যোগ সাফল্য পায় কিভাবে? আপনার উদ্যোগ তখনই সাফল্য পায় যখন

১। আপনার পন্য মানুষের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়,

২। ব্যবসায়ের কোনকিছুকেই অবহেলা না করে সবকিছু সমান গুরুত্ব পায়,

৩। যখন মানুষ উদ্যোগটি সাধারণভাবে পছন্দ করতে শুরু করে।

এসব কিছু সঠিকভাবে চলতে থাকলেকখনোই উদ্যোগ ব্যর্থ হতে পারেনা।

তথ্যসূত্রঃ টেকইনএশিয়া.কম