স্পেনের হয়ে রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপে কারা খেলছেন ?

Image result for spain world cup 2018 squad

২০০৬ বিশ্বকাপে ইউক্রেইন, তিউনিশিয়া, সৌদি আরবের সাথ গ্রূপ এইচ এ পড়ে স্পেন। গ্রূপ রাউন্ডে ইউক্রেইন কে ৪-০ গোলে, তিউনিশিয়াকে ৩-১ গোলে,সৌদি আরবকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রূপ চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। নক আউট স্টেজে ফ্রান্সের সাথে ৩-১ গোলে হেরে সমাপ্তি হয় তাদের বিশ্বকাপের।

২০১০ বিশ্বকাপ। আয়োজক দক্ষিন আফিকা হলেও এই বিশ্বকাপকে স্পেন বিশ্বকাপ বলাই যায়। পুরো বিশ্বকাপে তাদের আদিপত্য বিস্তার ছিল লক্ষ্যনীয়। পেপ গার্দিওলার টিকিটাকা ব্যাবহার করে স্পেন স্পর্শ করেছিল তাদের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি। কোচ হিসেবে ছিলেন মাস্টার মাইন্ড বিসেন্তে দেল বস্ক। আর পিচে ছিলেন জাবি হার্নান্দেস, কার্লোস পুয়োল, ইকার ক্যাসিয়াস, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, সার্জিও রামোস, জেরার্ড পিকে,জাভি আলেনসো, সার্জিও বুস্কেটস, ডেভিড ভিয়া, ফার্নান্দো তরেস, ডেভিড সিল্ভার মত বিখ্যাত সব তারকারা। গ্রূপ এইচ এ চিলি, সুইজারল্যান্ড, হুন্ডূরাসের সাথে পড়েছিল স্পেন। সুইজারল্যান্ডের সাথে ০-১ গোলে হেরে যায় স্পেন, তখন কেউ ভাবতে ও পারেনি এই বার স্পেন ই চ্যাম্পিয়ন হবে। পরের ম্যাচ গুলোতে হুন্ডূরাসকে ২-০, এবং চিলিকে ২-১ গোল হারিয়ে গ্রূপ চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। নক আউট স্টেজে পর্তুগাল কে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়াটার ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। কোয়াটার ফাইনালে প্যারাগুয়ে কে ও ১- ০ গোলে হারিয়ে চলে যায় সেমিতে। সেমিতে মুখোমুখি হয় জার্মান দের। তাদের কে ও ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মত ফাইনালে চলে যায় স্পেন। এবার ফাইনাল। এবার ফাইনাল। ১১ জুলাই সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের সকার সিটির এই ফাইনালে মুখোমুখি হয়, ভ্যান পার্সি, আরিয়েন রোবনে, স্নাইডার দের নেদারল্যান্ডসের। নির্দারিত সময়ে গোল করতে পারেনি কোন দলই। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময় শেষ হবার ৪ মিনিট বাঁকি থাকতে স্পেনের হয়ে জয় সূচক গোল করেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ৮৪,৪৯০ জন দর্শকদের সামনে শুরু হয় স্পেনের বিজয় উল্লাস। ফাইনালে গোল করার সুবাধে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন ইনিয়েস্তা। তবে ম্যাচ টিতে মোট ১৪ টি হলুদ কার্ড ,আর সেই সাথে ১ টি লাল কার্ড দেখান ইংল্যান্ডের রেফারী হাওয়ার্ড ওয়েব। এত বেশি কার্ড এখন পর্যন্ত কোন ফাইনালে দেখানো হয় নি।

২০১৪ এর ব্রাজিল বিশ্বকাপ। এবার গ্রূপ বি তে নেদারল্যান্ডস, চিলি, অস্ট্রেলিয়ার সাথে পড়ে স্পেন। আর প্রথম ম্যাচেই নেদারল্যান্ডসের সাথে ৫-১ গোলের লজ্জা। এ যেন গত ফাইনালের প্রতিশোধ। পরের ম্যাচে চিলির সাথে ২-১ গোলে হার। এর পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-০ গোলে হারালে ও আর শেষ রক্ষা হয়নি গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের। বিদায় নিতে হল গ্রূপ পর্ব থেকেই।

এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮। যতগুলো দল এ আসরে যাচ্ছে তাদের মধ্যে স্পেনের স্কোয়াড ডেপথ অন্য যেকোন টীমের চাইতে বেশি এটা যেকোন ফুটবল বোদ্ধাই মেনে নিতে বাধ্য। দেখা যাক স্পেনের টীম কেমন হচ্ছে এই বিশ্বকাপেঃ

ডেভিড ডি হেয়া

বর্তমানে গোল পোস্টে দাঁড়ানো অন্য যেকোন গোল কিপারের চাইতেই এগিয়ে এই গোল কিপার। দলগত ব্যর্থতায় কোন শিরোপা না জিতলে প্রিমিয়ার লীগের সেরা একাদশে তার জায়গাটা ঠিকই পাকা ছিল। এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে ৩৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৮ টি ক্লিন শিট রেখেছেন হেয়া। আর সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪১ ম্যাচে ২১ টি ক্লিন শিট। যা কিনা রেড ডেভিলদের হয়ে করা কোন কিপারের রেকর্ড।প্রিমিয়ার লীগের ৩৭ টি ম্যাচে সেইভ করেছেন ১১৫ টি। ঠেকিয়েছেন একটি পেনাল্টিও। ম্যাচ প্রতি সেইভ ৩.১(৮০%)। আর ১৭-১৮ মৌসুমে তার অসাধারন নৈপুন্যের জন্য জিতেছেন প্রিমিয়ার লীগের গোল্ডেন গ্লাভস। হয়েছেন এই সেশনের ইউনাইটেডের সেরা প্লেয়ার।

Image result for spain david de

 

পেপে রেইনা

গত বিশ্বকাপে ও দলে ছিলেন। ডেভিড ডি হেয়ার যোগ্য সাব হিসেবে আছে নাপোলির গোলকিপার পেপে রেইনা। যেকোন দলেই ১ নাম্বার জার্সি পাবার যোগ্যতা রাখেন। নাপোলির হয়ে ৩৭ টি ম্যাচের মধ্যে সব কয়টিতে স্টার্ট করেছেন তিনি। লীগে এভারেজ পাসিং রেটিং ৬.৮৭। ক্লিন শিট ছিল ১৮ টি, সেইভ করেছেন ৭০ টি, পেনাল্টি সেইভ ২ টি।

Image result for spain footballer pepe

কেপা আরিজাবালাগা

এতলেটিকো বিলবাওয়ের তরুন গোল কিপার। এখন নজরে পড়েছেন ইউরোপের সব জায়ান্টদের। অনেক বার মাদ্রিদের সাথে ট্রান্সফার হবার কথা থাকলে ও বিভিন্ন কারনে তা হয়ে ওঠেনি। ম্যাচ প্রতি তার এভারেজ রেটিং ৬.৮৬। বিলবাওয়ের হয়ে লীগে ৩০ টি ম্যাচে গোলবার সামলিয়েছেন তিনি। ক্লিন শিট রেখেছেন ৭ টি আর সেইভ করেছেন ৯৯ টি।

 

Image result for spain footballer kepa arrizabalaga
সার্জিও রামোস

শুধু স্পেন নয়, বর্তমানে ফুটবল মানচিত্রে সার্জিও রামোস একজনই। বর্তমান নাম্বার ওয়ান সেন্টারব্যাক তো বটেই, নিজেকে নিয়ে সর্বকালের সেরা সেন্টারব্যাকের তালিকার উপরের দিকে। এই সিজনে লীগে মোট ২৬ ম্যাচের প্রতিটা ম্যাচেই ছিলেন মাদ্রিদ ও স্পেনের এই গুরুত্বপূর্ণ খিলাড়ি। পাসিং, এরিয়াল ডুয়োলস, লং বল এই তিনটি ক্ষেত্রে একজন দক্ষ খিলাড় হলেন রামোস। এই সিজনে লীগে এভারেজ রেটিং ছিল ৭ .৩। ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ১.৫, ইন্টারসেপ্টশান্স ১.৮, ক্লিয়ারেন্স ৩.২, ডুয়োলস ওন ৫.৯(৬২%) সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ০.৩(৮২%)। এই সব স্ট্যাট বাদ দিলেও সার্জিও রামোস নামটাই একটা “ড্রাগন নাম’’ প্রতিপক্ষের জন্য। অন্তত বিশেষ মূহুর্তে দ্লকে জিতিয়ে আনার মানুষিকত তাকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। ফুটবল ডিকশানারিতে তার কল্যানে যুক্ত হয়েছে নতুন শব্দ ‘’রামোস টাইম’’।

 

Image result for spain footballer sergio ramos

জেরার্ড পিকে

সার্জিও রামোসের পরে যদি ফুটবলে কোন সেন্টারব্যাকের নাম নিতে হয় তাহলে সেটা জেরার্ড পিকে। দীর্ঘদিন ধরেই বার্সেলোনার রক্ষনভাগ সামলানোর দ্বায়িত্ব অত্যন্ত নির্ভরতার সহিত পালন করছেন এই কাতলান ডিফেন্ডার। জাতিত কাতলান হলেও স্পেনের দলের প্রতি আনুগত্য আর ডেডিকেশন নিয়ে প্রশ্ন ছিল না কখনোই। রামোসের মতই পাসিং, এরিয়াল ডুয়োলস, লং বলে দক্ষ জেরার্ড পিকে। এই সিজনের লীগে তার এভারেজ রেটিং ৭.১৭। জিতেছেন বার্সেলোনার হয়ে ডাবল। মোট ৩০ টি লীগ ম্যাচের ২৯ টি তেই স্টার্ট করেছেন পিকে। ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ১.০, ইন্টারসেপ্টশান্স ১.১, ক্লিয়ারেন্স ৪.১, ডুয়োলস ওন ৪.০(৫৯%) সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ০.৪(৮১%)।

 

Image result for spain footballer pk

নাচো ফার্নান্দেজ

বর্তমানে ফুটবলে অন্যতম একজন ভার্সেটাইল ফুটবলার। ডিফেন্সের রাইটব্যাক, সেন্টারব্যাক,লেফটব্যাক যেকোন পজিশনে খেলতে সক্ষম এই মাদ্রিদ তারকা। মাদ্রিদের বড় ধরনের কয়েকটি ম্যাচে সেই প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। মাদ্রিদের লীগে খেলেছেন ২৭ টি ম্যাচ, স্টার্ট করেছেন ২২ টি তে গোল করেছেন ৩টি। ম্যাচ প্রতি এভারেজ রেটিং ছিল ৬.৯৭, ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ২.০, ইন্টারসেপ্টশান্স ১.৭, ক্লিয়ারেন্স ১.৮, ডুয়োলস ওন ৪.৬(৫৯%) সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ০.২(৬০%)। সব ডিফেন্সে নাচো স্পেন কে এনে দিবে একটা বাড়তি এডভ্যান্টেজ।

Image result for spain footballer nacho fernandez

দানিয়েল কার্ভাহাল

এই সময়ের অন্যতম সেরা রাইটব্যাক। দীর্ঘদিন থেকেই সামলাচ্ছেন রিয়ালের রক্ষনভাগ। রিয়াল মাদ্রিদের মত স্পেনের প্রথম একাদশে ও তার স্থান অবধারিত। এই সিজনের বেশ কিছুদিন ইঞ্জুরির কারনে মাঠের বাহিরে থাকলেও মাঠে নেমেই তার আস্থার প্রমান দিয়েছেন। মাদ্রিদের হয়ে সব লীগে খেলেছেন ২৫ টি ম্যাচ, স্টার্ট করেছেন সবকয়টিতেই। এসিস্ট করেছেন ২টি। ম্যাচ প্রতি এভারেজ রেটিং ছিল ৭.১৭, ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ২.৪, ইন্টারসেপ্টশান্স ১.৫, ক্লিয়ারেন্স ১.৪, ডুয়োলস ওন ৫.৭(৫৪%) সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ১.৩(৭০%), চান্স ক্রিয়েটেড ৮টি। সব মিলিয়ে বলা যায় স্পেনের রাইটব্যাকের অন্যতম ভরসা কার্ভাহাল।

 

জর্ডি আলবা

ক্রসিংয়ে উইকননেস থাকলেও পাসিং একুরেসিতে এগিয়ে থাকবেন এই কাতালান লেফটব্যাক। বার্সারক হয়ে এই সিজনে ছিলেন খুব ভালো ফর্মে, জিতেছেন ডমেস্টিক ডাবল। বার্সার লীগে মিলিয়ে খেলেছেন ৩৩ টি ম্যাচ, স্টার্ট করেছেন ৩০ টি তে। গোল করেছেন ২ টি এসিস্ট করেছেন ৮টি। ম্যাচ প্রতি এভারেজ রেটিং ছিল ৭.২০, ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ১.৯, ইন্টারসেপ্টশান্স ২.১, ক্লিয়ারেন্স ১.৫, ডুয়োলস ওন ৩.৭(৫৪%) সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ০.৭(৭০%), চান্স ক্রিয়েটেড ১০ টি। সব মিলিয়ে বলা যায় ফার্স্ট চয়েজ জর্ডি আলবা স্পেনের অন্যতম শক্তি।

Image result for spain footballer jordi alba

 

নাচো মন্রিয়েল

আর্সেনালের লেফটব্যাক। জর্ডি আলভার সাব হিসেবে মাঠে নামবেন তিনি। আর্সেনালের হয়ে মোট ম্যাচ খেলেছেন ২৮টি, স্টার্ট করছেন ২৬ টি। ৫ টি গোলের সাথে আছ ২ টি এসিস্ট। ম্যাচ প্রতি এভারেজ রেটিং ছিল ৭.০৭, ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ১.৯, ইন্টারসেপ্টশান্স ২.০, ক্লিয়ারেন্স ২.৬, ডুয়োলস ওন ৫.০(৫৪%) সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ০.২(৫৫%), চান্স ক্রিয়েট ৪টি। এক কথায় অসাধারন পারফর্মেন্স।

চেজার আজপিলিকুয়েতা

পাসিং এবং গ্রাউন্ড ডুয়োলসে যথেষ্ট দক্ষ এই সেন্টারব্যাক চেলসি থেকে স্পেন দলে চান্স পাওয়া একমাত্র খেলোয়াড়। এই সিজনে প্রিমিয়ার লীগে ৩৭ টি ম্যাচের সব কয়টিতে স্টাটার ছিলেন এই স্প্যানিশ। লীগে এভারেজ রেটিং ছিল ৭.৩১। লীগে গোল করেছেন দুইটি, এসিস্ট ৬ টি, চান্স ক্রিয়েট ১৫ টি। ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ২.২, ইন্টারসেপ্টশান্স ১.৫, ক্লিয়ারেন্স ৩.২, ডুয়োলস ওন ৪.৮(৬১%) সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ০.২(৬৭%), এছাড়া লীগে পাস দিয়েছেন ২৭৬১টি, যার মধ্যে সফল পাস ২৩৯৫ টি। অর্থাৎ পাসি একুরেসি ৮৬.৭৪%। নিসন্দেহে স্টার্ট করার যোগ্যতা রাখেন।

আল্ভারো অদ্রিওজোলা

রিয়াল সোসিয়েদাদের রাইটব্যাক। খেলবেন দানি কার্ভাহালের সাব হিসেবে। লা-লীগাতে মোট ৩৫ টি ম্যচের মধ্যে ৩২ টি তে স্টার্ট করেছেন এই রাইটব্যাক। লীগে এভারেজ রেটিং ছিল ৬.৬২। এসিস্ট করেছেন ৪ টি, চান্স ক্রিয়েট ৬ টি। ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ১.২, ইন্টারসেপ্টশান্স ০.৪, ক্লিয়ারেন্স ১.০, ডুয়োলস ওন ৩.১(৪১%) সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ০.৯(৩৭%), এছাড়া লীগে পাস দিয়েছেন ১২৯৫ টি, যার মধ্যে সফল পাস ১১৪৭ টি। অর্থাৎ পাসি একুরেসি ৮৮.৫৭%।

সার্জিও বুস্কেটস

আধুনিক ফুটবলে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রোল টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। আর এই সময়ের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের মধ্যে সার্জিও বুস্কেটস আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পাসিং , বল কন্ট্রোলের ক্ষেত্র এবং গেম রিডিং এর ক্ষেত্রে বুস্কেকটসের অন্য যেকোন সিডিএম থেকে ভালো দক্ষতা রয়েছে। বিপক্ষ দলের এট্যাক ডিস্ট্রয় করার সাথে সাথে নিজ দলের গেম বিল্ডিং এর দ্বায়িত্বটা ও খুব ভালো ভাবে করেন বুস্কেটস। এই সিজনে লা-লীগাতে বুস্কেটস ৩১ টি ম্যাচে ২২৪১ টি পাস দিয়েছেন, যার মধ্যে সফল পাস দিয়েছেন ২০২৯ টি। অর্থাৎ ৯০.৫৪% পাসিং একুরেসি আর সেই সাথে লীগে ছিল এভারেজ রেটিং ৭.২৩। সেই সাথে রয়েছে ৫১ ইন্টারসেপ্ট, ৮৯ টি ট্যাকল, সাকসেস্ফুল ড্রিবল ০.৬(৭৮%), ডুয়োলস ওন ৭.০(৬৩%)। গোল করছেন ১ টি সাথে ৪টি এসিস্ট। নিসন্দহে এই বিশ্বকাপে স্পেনের অন্যতম তুরুপের তাস হতে যাচ্ছেন সার্জিও বুস্কেটস।

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা সম্পর্কে আসলে কিছু বলার প্রয়োজন হয় না। ইনিয়েস্তা যে নিজেই একটা মহাকাব্য। ইনিয়েস্তা নাম টাই তার সম্পর্কে বলে দিতে সক্ষম। সদ্য বার্সা বিদায়ী এই স্প্যানিশের এটাই কোন আন্তর্জাতিক টুর্ণামেন্ট। ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করে স্পেন কে এনে দিয়েছিলেন অধরা সে সোনালী ট্রফি। আর শেষ বিশ্বকাপ টা অবশ্যই রাঙ্গিয়ে দিতে চাইবেন তিনি। এই সিজনে লীগে ৩০ টি ম্যাচে খেলেছেন আন্দ্রেস যার মধ্যে স্টার্ট করেছেন মাত্র ২৫ টি তে। গোল করেছেন ১ টি, এসিস্ট করেছেন ২ টি। সর্বমোট ১৫২০ টি পাস দিয়েছেন ইনিয়স্তা,যার মধ্যে ১৩৪১ টি ছিল সফল পাস। অর্থাৎ ৮৮.২২% পাসিং একুরেসি ধরে রেখেছেন ইনিয়স্তা। লীগে এই সিজনে ইনিয়েস্তার এভারেজ রেটিং ছিল ৭.৮, ডুয়োল ওন ৪.৪(৬০%),সফল ড্রিবল ২.১(৮২%), চান্স ক্রিয়েট ৬,ম্যাচ প্রতি ক্লিয়ারেন্স ০.৩, ম্যাচ প্রতি ট্যাকলস ০.৯। তাই সহজেই বলা যায় ইনিয়েস্তাই হবেন স্পেনের মিডফিল্ডের অগ্রদূত।

Image result for spain footballer iniesta

 

থিয়াগো আল্কান্তারা

জন্ম ইতালিতে, রক্তে ব্রাজিল, আর সেই সাথে লা-মাসিয়ার সেই ট্রেনিং। সব মিলিয়ে একটা প্যাকেজ বলা যায় থিয়াগোকে। ইনিয়েস্তার পাশাপাশি এবারে স্পেনের মিডফিল্ডে দেখা যাবে এই বায়ার্ন তারকা কে। আর হতে পারেন স্পেনের ১০ নাম্বার জার্সিধারী। পাসিং এবং প্লেমিকং রোলে ভালো দক্ষতা রয়েছে থিয়াগোর। এই সিজনে বায়ার্নের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩২ টি ম্যাচের ২২ টি তে স্টার্ট করে পেয়েছেন ৭ টি গোল এবং করিয়েছেন ৪ টি। অর্থাৎ সরাসরি ১১ টি গোলে অবদান রেখেছেন থিয়াগো। আর লীগে খেলেছেন ১৯ টি ম্যাচ, যার মধ্যে স্টার্ট করেছেন ১২ টি তে। লীগে মোট ১২৮৭ টী পাস দিয়েছেন যার মধ্যে সফল পাস ছিল ১১৭৮ টি, পাসিং একুরেসি ৯১.৫৩%। এছাড়া সাকসেস্ফুল ড্রিবলস ০.৩(২০%) , ডুয়োলস ওউন ৭.৩(৪৯%) বাবা মাজিনহো আলকান্তারা ব্রাজিলের হয়ে জিতেছিলেন বিশ্বকাপ। আর ছেলে থিয়াগো আলকান্তারা অবশ্যই চাইবেন স্পেনের হয়ে একটি বিশ্বকাপ জিততে। গত বিশ্বকাপে নিজের ফর্মের কারনে ছিলেন স্কোয়াডে। তাই এটাই তার প্রথম বিশ্বকাপ। আর তাই অভিষেকেই নিজের সেরা ঢেলে দিতে কার্পন্য করবেন না।

ইস্কো আলার্কন

স্পেনের প্রধান তারকা। এতে কোন সন্দেহ নেই যে লোপেতেগুই স্পেনের গেম প্ল্যানিং টা ইস্কো কেন্দ্রিকই করবেন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে রোটেশনের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে কিছুটা খেই হারালে ও জাতীয় দলে ছিলেন সবসময়ই উজ্জ্বল। আর জাতীয় দলের সেরা ঝলকে ক্লাব কোচ জিদান বেশ চাপেই রেখেছেন ইস্কো। আদায় করে নিচ্ছেন নিজের প্রাপ্য প্লেয়িং টাইম। এট্যাকিং মিড, লেফট উইং, রাইট উইং তিন পজিশনেই খেলতে পারবেন ইস্কো। তাই লোপেতেগুইর হাতে থাকবে বাড়তি অপশন। এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মোট ৪৬ টি ম্যাচ ৩৩ টি তে স্টার্ট করেছেন ইস্কো। গোল করেছেন ৯ টি আর করিয়েছেন ১০ টি। লীগে মোট পাস দিয়েছেন ১৫২১ টি যার মধ্যে ১৩৫০ টি পাস ই ছিল সফল। পাসিং একুরেসি ছিল ৮৮.৮২%। ইস্কো ৪১ টি কি পাসের সাথে সাথে শট নিয়েছেন ৩২ টি আর অন টার্গেট শট নিয়েছেন ২০ টি। সুতরাং বলা যায় বিপক্ষ দল গুলো কে হারাতে ইস্কোই হবেন স্পেনের তুরুপের তাস। আর্জেন্টিনা আর ইতালির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে সেটাই জানান দিয়েছেন ইস্কো।

মার্কো এসেন্সিও

জিদানের মতে বাম পায়ের সেরা খেলোয়াড়। রিয়ালের একজন রেগুলার সাব প্লেয়ার। এসেন্সিওর সাব হয়ে পিচে নামলে যেই এডভ্যান্টেজ টা কাজ লাগায় রিয়াল মাদ্রিদ ঠিক সেটাই কাজে লাগাবেন লোপেতেগুই। বিরতির পর মার্কো এসেন্সিওর পেস টাই একটা বাড়তি এডভ্যান্টেজ দেবে স্পেন কে। এট্যাকিং মিড কিংবা উইং দুই পজিশনেই খেলতে পারেন এসেন্সিও। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে খেলেচেন একজন লেফট উইংগার হিসেবে। এই মৌসুমে রিয়ালের হয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫১ টি ম্যাচে স্টার্ট করেছেন মাত্র ২৮ টি ম্যচে। তবে ১১টি গোল আর ৭ টি এসিস্ট করে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই যাচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড। সেই সাথে লীগে দিয়েছেন ৪৬ টি কি পাস এবং নিয়েছেন ২৩ টি অন টার্গেট শট। আর লা-লীগাতে এভারেজ রেটিং ছিল ৭.২১, বিগ চান্স ক্রিয়েট করছেন ১৩ টি। ম্যাচ প্রতি ইন্টারসেপ্টশান্স ০.৩, ট্যাকল ০.৮। সাকসেস্ফুল ড্রিবল ১.০(৬৯%), ডুয়োলস ওন ২.৭।

ডেভিড সিল্ভা

এই সিজনের ম্যানচেস্টার সিটির অন্যতম কি প্লেয়ার ছিলেন সিল্ভা। সিটির হয়ে দুইটি শিরোপা জেতার পাশাপাশি ৩২ বছর বয়সে ও ধরে রেখেছেন নিজের পারফর্মেন্স। সিটিতে একজন মিডফিল্ডার হিসেবে খেললে ও স্পেনে তাকে রাইট উয়ং অথবা সেকেন্ড স্ট্রাইকার হিসেবে দেখা যেতে পারে। প্লে মেকিং, বল কন্ট্রোলিং, এবং পাসিং যথেষ্ট দক্ষ ডেভিড সিল্ভা এই মৌসু মে সিটির হয়ে সব মিলিয়ে ৪০ ম্যাচে করেছেন ৩৭ টীই স্টার্ট। গোল করেছেন ১০ ট এসিস্ট করছেন ১৪ টি। সর্বমোট ২৪ গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন সিলভা। প্রিমিয়ার লীগে শুধু মাত্র ২ জন বেশি এসিস্ট করছেন। ব্রুইন ১৬ , সানে ১৫। এছাড়া সিলভা লীগে এভারেজ রেটিং ছিল ৭.৭৫। সেই সাথে ৫০ টি কি পাস এবং ২০ টি অন টার্গেট শট, ১৫ টি চান্স ক্রিয়েট ছিল সিল্ভার নামের পাশে। নিয়েছেন ২৪৩০ টি পাস যার মধ্যে ২১৬১ টি পাসই ছিল তার সফল। পাসিং একুরেসি ৮৮.৯৩% , ডুয়োলস ওন ৪.১(৫৩%), সফল ড্রিবল ১.৩(৭৮%)। অভিজ্ঞতা ফর্ম সব মিলিয়ে এই বিশ্বকাপে চমৎকার কিছু দিতে যাচ্ছেন সিলভা সেটা আশা করাই যায়।

সাউল নিগুয়েজ

সাউল খেলেন এতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে। বয়স মাত্র ২৩। তবে এই বয়সে যে প্রতিভার প্রভাব রাখছেন, তাতে ফিউচারে যে একজন ভালো মিডফিল্ডার হচ্ছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। এতলেটিকোর এইবার জিতেছেন ইউরোপা লীগ। এই মৌসুমে এতলেটিকোর হয়ে সব মলিয়ে ৫৬ ট ম্যাচে স্টার্ট করেছেন ৫২ টি তে। গোল করেছেন ৬ টি, এসিস্ট ৩ টি। লা-লীগাতে সাউল পাস দিয়েছেন ১৬৯০ টি যার মধ্যে সফল পাস ছিল ১৩৯৩ টি। অর্থাৎ পাসিং একুরেসি ছিল ৮২.৪২%। এটা নেহায়েত মন্দ নয়। এছাড়া ড্রিবলস সাকসেস রেট ম্যাচ প্রতি ১.৬(৬১%), ডুয়োলস ওন ৮.৩(৫১%), ইন্টারসেপ্টশান্স ম্যাচ প্রতি ১.৫, ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ৩.৭, ক্লিয়ারেন্স ম্যাচ প্রতি ২.০। লা-লীগাতে এভারেজ রেটিং ৭.১৮। এখানে বলে রাখা উচিত লীগে সাউল ১৩২ টি করছেন, যা লা-লীগাতে সর্বোচ্চ।

কোকে

এতলেটিকো মাদ্রিদের এই মিড ফিল্ডার স্পেনের মিডফিল্ডের অন্যতম ভরসা। দলের প্রয়োজনে কোচ তাকে ম্যাচে স্টার্ট ও করাতে পারেন আবার সাব হতে পারেন। এতলেটিকোর হয়ে জিতেছেন ইউরোপা লীগ। লা-লীগাতে ও ছিলেন চ্যাম্পিয়নদের পিছনে। লীগে ৩৫ টি ম্যাচে ৩৩টি তে স্টার্ট করছেন কোকে। এভারেজ রেটিং ৭.১৮। গোল করেছেন ৪টি এসিস্ট ৪টি সেই সাথে চান্স ক্রিয়েট করছেন ১৩ টি। পাস দিয়েছেন ১৯৮৯ টি ,সফল ছিল ১৬৯৪টি।পাসিং একুরেসি ৮৫.১৬%, সফল ড্রিবল ০.৬(৭৪%), ডুয়োলস ওন ৪.৫(৪৯%)। ইন্টারসেপ্টশান্স ম্যাচ প্রতি ০.৭, ম্যাচ প্রতি ট্যাকল ২.১, ম্যাচ প্রতি ক্লিয়ারেন্স ০.৯।

লুকাস ভাস্কুয়েজ

লুকাস ভাস্কুয়েজের দল জায়গা পাওয়াটা অবধারিতই ছিল ।এটিই তার প্রথম বিশ্বকাপ। মাদ্রিদের হয়ে এই মৌসুমটা অসধারন কাটাচ্ছেন এই ইয়াস্টার। রাইট উইংয়ে ডেভিড সিলভার যোগ্য সাব হিসেবে থাকবেন তিনি। এই সিজনে লীগে এভারেজ রেটিং ৭। মাদ্রিদের হয়ে মোট ৫১ টি ম্যাচে ২৭ টি তে স্টার্ট করেছেন, গোল করছেন ৮ টি আর এসিস্ট ১১ টি। আর লা-লীগাতে ৪৪ টি কি পাসের সাথে নিয়েছেন ১৭ টি অন টার্গেট শট। ম্যাচ প্রতি তার সফল ড্রিবল ১.১(৫৫%) ,ডুয়োলস ওন ৪.০(৪৬%), পাসিং একুরেসসি ৮১%। নিসন্দেহে বলা যায় স্পেনের অন্যতম সাব প্লেয়ার স্কোয়াড শক্তিশালী করছেন লুকাস। হয়তো মাদ্রিদের মত সুযোগ পেলেই তা কাজে লাগাতে দেরী করবেন না লুকাস।

ডিয়েগো কস্তা

জন্ম ব্রাজিলে হলেও খেলছেন স্পেনের হয়ে। আর স্পেন দলের হয়ে ও সে যথেষ্ট ডেডিকেটেড। এতলেটিকো মাদ্রিদ থেকে চেলসি ঘুরে আবার এতলেটিকো মাদ্রিদে। একসময় মোরাতার কারনে চেলসিতে জায়গা হারালে ও এবার মোরাতাই জায়গা হারালেন তার কাছে। বর্তমানে স্পেনের এক নাম্বার স্ট্রাইকার হিসেবেই রাশিয়া যাচ্ছেন এই মেজাজী স্ট্রাইকার। এতলেটিকোর হয়ে এই সিজনে সব মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে স্টার্ট করছেন ২০ টি তে। গোল করছেন ৭ টি ,এসিস্ট ৫ টি। লীগে এভারেজ রেটিং ৬.৮৩, ম্যাচ প্রতি গোল ০.২, চান্স ক্রিয়েট ৫, ম্যাচ প্রতি ডুয়োলস ওন ৫.১(৩৮%), ম্যাচ প্রতি সফল ড্রিবল ১.০(৪৭%)। এই পরিসংখ্যান খুব একটা ভারী না হলেও তার উপরেই ভরসা রাখছেন লোপেতেগুই।

ইয়াগো আসপাস

চেল্টা ভিগোর হয়ে ধারুন খেলছেন এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। চেল্টা ভিগোর ৩৭ ম্যাচে ৩৫ টিতে স্টার্ট করেছেন এই তরুন তুর্কি। গোল করেছেন ২২ টি আর এসিস্ট ৫ টি। গোল সংখ্যাতে লীগে আছেন চতুর্থ পজিশনে। ফিনিশিং এবং বল কন্ট্রোলে যথেষ্ট দক্ষতা থাকা এই প্লেয়ারের লীগে এভারেজ রেটিং ছিল ৭.৬০। লীগে অন টার্গেট শট নিয়েছেন ৪৪টি, সেই সাথে পাসিং একুরেসি ছিল ৭৬%, চান্স ক্রিয়েট করেছেন ১৭ টি, ম্যাচ প্রতি সফল ড্রিবল ১.৭(৬৩%), ম্যাচ প্রতি ডুয়োলস ওন ৪.৭(৪৯%)। এই স্ট্যাটে তাকে বেঞ্চে রাখাটা কষ্টকর হবে স্পেন কোচের জন্য। পিচে যেকোন দলের জন্যই হুমকিস্বরূপ আসপাস।

রুদ্রিগো

ভ্যালেন্সিয়ার টপ স্কোরার। সব মিলিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে ৪৪ ম্যাচের ৩৩ টি তে স্টার্ট করে গোল করেছেন ১৯ টি এসিস্ট ৪ টি। এছাড়া লা-লীগাতে অন টার্গেট শট নিয়েছেন ৪০ টি। লীগে এই সিজনে এভারেজ রেটিং ৭.১৩। ম্যাচ প্রতি সফল ড্রিবল ১.২(৫৭%), ম্যাচ প্রতি ডুয়োলস ওন ৩.৮(৪৪%), চান্স ক্রিয়েট ৮। আশা করা যায় সুযোগ তিনি তার আস্থার প্রতিদান দিবেন।

 

Image result for spain footballer rodrigo

ফর্মেনশন

স্পেনের ফার্মেনশন হতে পরে ৪-৩-৩। সাধারনত ইতালি, জার্মানী এবং আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লোপেতেগুই এই ফার্মেনশন ই খেলিয়েছেন দলকে। এক্ষেত্রে ডিফেন্স লাইনে থাকবেন আলবা, রামোস, পিকে, কার্ভাহাল। আর তাদের সামনে থাকবনে CDM হিসেবে সার্জিও বুস্কেটস। আর তার সামনে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে ইনিয়েস্তা আর থিয়াগো আলকান্তারা। লেফট উইংয়ে থাকবেন ইস্কো আর রাইট উইংয়ে ডেভিড সিলভা। আর স্ট্রাইকার পজিশনে ডিয়েগো কস্তা। পজিশন অনুযায়ী বিভিন্ন পজিশনে প্লেয়ার রোটেট করানো হতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায় এবার বিশ্বকাপ টি স্পেনেরই হবে।

Written By

Mohammad Ali

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *