পৃথিবীতে অসংখ্য রহস্যময় ঘটনা ঘটে প্রতিদিন। এ সকল রহস্যের মধ্যে অনেক রহস্যের কোনো সমাধান পাওয়া যায় না। এরকম ১৫ টি রহস্যময় ঘটনা শুনে আপনিও অবাক হবেন।
১. উলপিটের রহস্যময় সবুজ রঙের ভাই বোন
দ্বাদশ শতাব্দীতে হঠাৎ করেই ইংল্যান্ডের উলপিটে একজোড়া ভাই বোনের উদয় হয়। তারা সবদিক থেকেই সাধারণ মানুষের মতো ছিল। তবে তাদের গায়ের রং ছিল অস্বাভাবিক সবুজ রঙের। তারা দুই ভাই বোন অজানা ভাষায় কথা বলতো, অদ্ভুত পোশাক পরিধান করতো এবং খাবার হিসেবে শুধু কাঁচা শিম খেতো। কিছুদিন পর অবশ্য তাদের মধ্যে ছেলেটি মারা যায় কিন্তু মেয়েটি বেঁচে ছিল। মেয়েটি পরবর্তীতে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করেছিল এবং অন্যান্য খাবার খাওয়া শিখেছিল। ধীরে ধীরে মেয়েটি তার গায়ের সবুজ রং হারাতে শুরু করে। সে অন্যদের বলেছিল যে, তারা দুই ভাই বোন সেন্ট মার্টিন্স ল্যান্ড থেকে এসেছে। তার ভাষ্য মতে, সেন্ট মার্টিন্স একটি ভূগর্ভস্থ এলাকা যেখানে সবাই সবুজ গাত্র বর্ণের অধিকারী।
এই গল্পের ভিত্তি পরিষ্কার নয়। কেউ কেউ এটিকে নিছক পরীর গল্প মনে করেন। কেউ আবার মনে করেন সত্য গল্পের কিছুটা রদবদল হয়েছে। কেউ আবার এখনো মনে করেন তারা হয়তো আসলেই ভূগর্ভস্থ পৃথিবীর কোনো অশরীরী প্রাণী।
২. ‘তামাম সুড’ কেস
১৯৪৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার সোমেরটন বিচ থেকে একজন মৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তার কাছে কোনো পরিচয়পত্র ছিল না এবং তার সাথে কোনো ডেন্টাল রেকর্ডের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলা হয়েছে, তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু বিষের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই জটিল রহস্যের সমাধান দিতে একজন বিশেষজ্ঞকে সেই মৃতদেহ পর্যবেক্ষণের জন্য আনা হয়েছিল। সে ঐ মৃতব্যক্তির কোমরবন্ধনীর কাছে একটি ছোট পকেট আবিষ্কার করে যার মধ্যে একটি ছোট কাগজে লেখা ছিল ‘তামাম সুড’।
এটি ওমর খৈয়ামের ‘রুবাইয়াত’ নামক কবিতা সমগ্রের শেষের কিছু শব্দ। ধারণা করা হচ্ছিল যে, কাগজের ঐ টুকরাটি সৈকতের পাশে রাখা গাড়ির ভেতর রাখা বইয়ের ছেঁড়া অংশ। সেই বইতে একজন নার্সের ফোন নম্বর ছিল। সেই সাথে তাতে একটি সাংকেতিক বার্তা ছিল। নার্স বলেছিলেন- তিনি এই বইটি অ্যালবার্ট বক্সাল নামক এক ব্যক্তি দিয়েছিল। পুলিশ ভেবেছিল মৃত ব্যক্তিই মনে হয় অ্যালবার্ট বক্সাল যতদিন অ্যালবার্ট বক্সাল সশরীরে নিজে এসে উপস্থিত না হয়। পরবর্তীতে অ্যালবার্ট তার সেই বইটিও সাথে করে নিয়ে আসে যেটা তাকে সেই নার্স দিয়েছিল এবং সেই ‘তামাম সুড’ কথাটি সেখান থেকে ছেঁড়া হয়নি। এই রহস্যের কোনো সমাধান আজও পাওয়া যায়নি।
৩.ম্যাক্স হেডরুম ব্রডকাস্টে বিপত্তি
১৯৮৭ সালে শিকাগো পিবিএস অধিভুক্ত স্টেশনে ‘ডক্টর হু’ সিরিজটি সম্প্রচারের সময়, হেডরুম মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তি সেই প্রোগ্রামটির ব্যাঘাত ঘটিয়েছিল। সেই টেলিভিশন হাইজ্যাকারদের কখনোই ধরা সম্ভব হয়নি এবং তাদের সেই বার্তাটিও কখনো স্পষ্ট ছিল না। সেটি এখনো একটি রহস্য।
৪.ওয়াও সিগন্যাল
১৯৭৭ সালের ১৫ আগস্ট, জেরি আর. এহমান এসইটিআই প্রোজেক্টে ওয়াও সিগন্যাল সনাক্ত করেছিলেন। সেই রেডিও সিগন্যালটি অনেক শক্তিশালী ছিল এবং অনেক দূর কোনো স্থান থেকে এসেছিল। সিগন্যালটি ৭২ সেকেন্ড স্থায়ী হয় এবং তারপর আজ অবধি সেটি আর কখনো শোনা যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন, এই সিগন্যালটি যদি পৃথিবীর বাইরের কোনো সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আসে তবে তারা মানুষের থেকে অনেক উন্নত। কিন্তু এই রহস্যের জট এখনো খোলেনি।
৫. ডি.বি.কুপার
এক ব্যক্তি নিজেকে ড্যান কুপার দাবী করেন এবং ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে নর্থ ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩০৫ এ সিয়াটলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। প্লেনের শেষের সারিতে বসে একটি সিগারেট ধরেন। তিনি একটি বর্বোন এবং সোডা অর্ডার করেন। তার কিছুক্ষণ পর, একটি নোট ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্সকে দেন।
সেই নোটে তিনি বলেন – তার সাথে একটি বোমা আছে এবং তিনি তাকে তার পাশে বসতে বলেন। যখন সে তার পাশে বসেন তখন কুপার তার ব্রিফকেস খুলে দেখান। একটি ব্যাটারী, কিছু লাল কাঠি এবং তার দেখিয়ে তিনি বলেন, আমি ২০০,০০০$ নগদ চাই বিকেল ৫:০০ টার মধ্যে। একটি ব্যাগে দুটি প্যারশুট চাই। এবং যখন আমরা ভূমিতে নামবো তখন এক ট্রাক তেল যেন তৈরি থাকে।
ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্স প্লেনের চালককে কুপারের কথা বলেন। সিয়াটলে নামার পর যাত্রীদের ছেড়ে দেয়া হয় এবং যাবতীয় অর্থ এবং প্যারাশুট বিমানে আনা হয়। কুপারের নির্দেশে বিমানটি নিউ মেক্সিকোর দিকে যেতে থাকে। প্লেনটির ১০,০০০ মিটারের বেশি উচ্চতায় যাবার পর কুপার নগদ অর্থ সহ এবং প্যারাশুট বেঁধে পিছনের সিট থেকে লাফ দেয়। এরপর অনেকেই নিজেকে কুপার দাবী করেন কিন্তু কোনো উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারেননি। এ গল্পটি এত বিখ্যাত ছিল যে, কুপার কমিক সিরিজের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছিল।
৬. ভয়নিচ পান্ডুলিপি
এটি একটি অজানা ভাষায় হাতে লেখা চিত্রিত ভলিয়মের পান্ডুলিপি। ১৫ শতকের শুরুতে এটি লেখা হয়েছিল এবং এটির নামকরণ করা হয় আলফ্রেড ভয়নিচের নামানুসারে। তিনি মূলত ১৯১২ সালে বইটি ক্রয় করেছিলেন। এটি অসংখ্য বার পড়া হয়েছে কিন্তু এর কোড কেউ ভেদ করতে পারেনি। এটি ৬টি বিভাগে বিভক্ত। হারবাল, জ্যোতির্বিদ্যা, জৈবিক, মহাজাগতিক, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং রেসিপি। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এটি একটি মেডিক্যাল ভলিউম যা এখনো রহস্যের আধার।
উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের মতে – আঁকা উদ্ভিদের অনেকগুলোই কোনো পরিচিত প্রজাতির অনুরূপ না। তারা যৌগিক বলে মনে হয়। কেউ কেউ এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন যে, এটি একটি ফাঁকি কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন এটি খুব জটিল এবং অত্যাধুনিক।
৭. মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০
সবচেয়ে সাম্প্রতিক নিখোঁজ রহস্যগুলোর মধ্যে একটি হলো মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০, যা শনিবার ৮ মার্চ, ২০১৪ তারিখে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। মালয়েশিয়ার থেকে বেইজিং পর্যন্ত একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছিল এটি। ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্যকে বহন করেছিল। উড়োজাহাজটি বিমানের ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে তার শেষ ভয়েস যোগাযোগটি করে টেক অফের এক ঘণ্টা এবং রাডারে পর্দা থেকে নিখোঁজ হয় কয়েক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে। মালয়েশীয় সামরিক রাডারটি প্রায় এক ঘণ্টার পর বিমানটি ট্র্যাক করে, এটি তার উড়োজাহাজ থেকে বিচ্যুত হওয়ার পর থেকে আন্দামান সাগর পর্যন্ত রাডারের পরিসীমা বজায় রেখেছিল।
বিমানটি অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার আগে কোনো সংকটের সংকেত, খারাপ আবহাওয়ার সতর্কবাণী বা প্রযুক্তিগত – কোনো সমস্যার কথা বলা হয়নি। অনেকেই এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, ভারত মহাসাগরে এই ফ্লাইট শেষ হয়েছে এবং এখনও অনুসন্ধান চলছে, সেখানে কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি।
৮. জোডিয়াক কিলার
জোডিয়াক কিলার ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত নিখোঁজ হত্যাকারীর একজন। ১৯৬৯ সালে সান ফ্রান্সিসকো এলাকায় কমপক্ষে পাঁচ জনকে হত্যা করার জন্য তিনি দায়ী ছিলেন। বিষয়টিকে আরও খারাপ করার জন্য, খুনী নিজেকে বেশ কয়েকটি হত্যায় আহ্বান জানায়, সংবাদপত্রগুলোতে সাংকেতিক চিঠি পাঠায় এবং এমনকি একটি রক্তাক্ত শার্টের টুকরোতেও পাঠানো হয়। কিন্তু তাকে কখনও ধরা যায়নি। বেশ কয়েকজন সন্দেহ ভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, কিন্তু মামলাটি কখনোই সমাধান করা হয়নি।
৯. বিমিনি রোড
বিমিনি রোড একটি ডুবো শিলা যা বাহামা দ্বীপে উত্তর বিমিনি দ্বীপের কাছে বিশাল, আয়তক্ষেত্রাকার চুনাপাথরের ব্লক ধারণ করেছে। এর গাঠনিক চেহারাটি দেখে অনেকে দাবী করেন যে, এটি একটি হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন সভ্যতার প্রমাণ। প্রচলিত মতামত – এটি প্রকৃতপক্ষে একটি প্রাকৃতিক ল্যান্ডফর্ম, কিন্তু কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এখনও নিশ্চিত নন।
১৯৬৮ সালে বিমিনি রোড আবিষ্কৃত হওয়ার পর, ১৯৩৮ সালে রহস্যবিদ এডগার কাইস একটি অদ্ভুত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন,”বিমিনির নিকটবর্তী যুগ এবং সমুদ্রের তলদেশে জলমগ্ন মন্দিরের একটি অংশ এখনো আবিষ্কৃত হতে পারে। প্রত্যাশিত সময় এটি ‘৬৮ বা ‘৬৯তে – যা খুব বেশি দূরে নয়।”
১০. ক্রিপটস
এই ভাস্কর্যটি ভার্জিনিয়ার সিআইএ সদর দপ্তরে স্থাপিত হয়েছে। ভাস্কর্যটি শিল্পী জিম স্যানবর্ন তৈরি করেছিলেন। এর চার এনক্রিপ্ট বার্তা রয়েছে যার তিনটি বার্তা সমাধান করা হয়েছে, কিন্তু শেষের একটি এখন পর্যন্ত অপেশাদার থেকে কোনো অভিজ্ঞ মানুষ কেউই সমাধান দিতে পারেনি।
১১. ওকভিলে বাবলস
আগস্ট ৭, ১৯৯৪ সালে ওকভিলের বাসিন্দারা এক অদ্ভুত বৃষ্টি লক্ষ্য করেন। সেই বৃষ্টিত পানির ফোঁটার পরিবর্তে জেলাটিন সমৃদ্ধ বাবল পড়েছিল। বমি বমি ভাব হয়ে একটি বিড়াল ছানা মারা যাওয়ার পর ঐ বাবলগুলো টেস্টিং এর জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাতে দুই ধরণের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছিল যার একটি মানুষের পাকস্থলিতে পাওয়া যায়। টেস্টের ফলাফল – জেলাটিনগুলো কোনো জীবন্ত জীব থেকে এসেছে আবার কেউ বলছিল শ্বেত রক্তকণিকা হতে। কিছু অধিবাসী এ ঘটনাকে সামরিক পরীক্ষার অংশ বলে দাবি করেন। কেননা ঐ সময় ঐ এলাকায় সামরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
১২. পোলক টুইনস
১৯৫৭ সালে, দুই বোন, জোয়ানা (১১) এবং জ্যাকলিন (৬) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। এক বছর পর, তাদের মা জমজ সন্তানের জন্ম দেন একজন জেনিফার ও গিলিয়ান। তারপর তিনি একটি অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করেন। জেনিফারের দেহে জন্ম চিহ্ন ছিল যা জ্যাকলিনের মতোই। তাদের মা তাদের নিয়ে একটি গেম খেলেন। যেখানে জেনিফার এবং গিলিয়ান, জোয়ানা এবং জ্যাকলিন যেভাবে মারা যায় তারা ঠিক সেই দৃশ্যের মতোই খেলছিল। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বাবা মা কখনোই মেয়েদের সাথে দুর্ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেননি। ঘটনা শুনে মনোবিজ্ঞানী ডাঃ ইয়ান স্টিভেনসন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সম্ভবত এই যমজ তাদের বোনদের পুনরুত্থান ছিল।
১৩. স্ক্রিমিং মমি
১৮৮৬ সালে একটি মমি আবিষ্কার হয় যার মুখে বিচিত্র ধরণের দুর্গন্ধ ছিল। এমনকি তার অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গগুলো অক্ষত ছিল যা সাধারণ মমিদের মতো প্রক্রিয়াজাত নয়। ধারণা করা হয় কাউকে হত্যা, বিষপ্রয়োগ অথবা জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিল।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফির মতে, এটি ফারাও রামসেস-৩ এর পুত্র প্রিন্স পেন্টেওয়ের মমি যা বাবার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। স্ক্রিমিং মমির রহস্য আজও সমাধান হয়নি।
১৪. দ্যতলোভ পাসের ঘটনা
১৯৫৯ সালে ৯ জন অভিজ্ঞ রাশিয়ান পর্বতারোহী ইউরাল পর্বতে নিঁখোজ হন। কয়েক মাস পর, তাদের মৃত দেহগুলো খুব অদ্ভুত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৩ জন মাটিতে পড়েছিল এবং বাকিরা ১৫ ফুট বরফের নিচে। তাদের একটি গর্তে পাওয়া যায় যেটি তারা নিজেদের জন্য খোদাই করেছিল। তাদের ত্বকে আঘাতের চিহ্ন ছিল সেই সাথে কিছু হাড় ভেঙে গিয়েছিল এবং কিছু অভ্যন্তরীণ আঘাতও ছিল।
কিছু লাশে কাপড় ছিল আবার কিছু সম্পূর্ণ নগ্ন। একজনের জিহ্বা এবং একজনের চোখ ছিল না। কেন এবং কিভাবে তাদের হ্ত্যা করা হয়েছিল সেটি আজও রহস্য।
১৫.টনিবি টাইলস
১৯৮০ সালের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের রাজধানী সহ অনেক জায়গায় শত শত টাইলস প্রদর্শিত হয়েছিল। সবগুলো টাইলসেই একটি বিচিত্র বার্তা ছিল। প্রথম টাইলসটি ১৯৮৪ সালের বাল্টিমোরে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ওয়াশিংটন ডিসি, বোস্টন, ক্যানসাস সহ অনেক শহরেই দেখা যায়। ছবিটির লেখার অর্থ নিয়ে এখনো রহস্যের জট খোলেনি।