উড়তে থাকা বাংলাদেশকে মাটিতে নামালো শ্রীলংকা!!

উড়তে থাকা বাংলাদেশকে মাটিতে নামালো শ্রীলংকা!!

টানা তিন ম্যাচ জিতে থাকা বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়ে আনলো শ্রীলংকা। ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে একশোর নিচে অলআউট বাংলাদেশ। প্রায় চার বছর ওয়ানডেতে একশোর নিচে অলআউট বাংলাদেশ। অতি আত্নবিশ্বাসী হওয়ার ফল দেখা গেল এই ম্যাচের ব্যাটিংয়ে।

এিদেশীয় সিরিজের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। এদিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় বারের মত সর্বনিম্ন স্কোর করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। 2002 সালে কলম্বোয় স্বাগতিকদের বিপক্ষে 76 রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ষোল বছর পর একই লজ্জায় টাইগার বাহিনী। অলআউট হয় 82 রানে।

এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। টানা চতুর্থ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ কাপ্তান মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু মুশফিক ও ও সাব্বির ছাড়া কোন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। সবার রান এর সংখ্যা ছিল অনেকটা মোবাইল নাম্বার এর মত। লম্বা ব্যাটিং অর্ডার অনেকটা তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে লজ্জাজনক ভাবে। মাএ 82 রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

ইনিংসের শুরুতেই এনামুল হক বিজয় তৃতীয় ওভারে রানের খাতা খোলার আগে লাকমলের বলে বোল্ড হন তিনি। টানা চার ম্যাচ ব্যর্থ এই ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব -তামিম জুটি আজ আর স্হায়ী হয় নি। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট এর শিকার হন সাকিব। এর এক বল পরেই গুনাতিলোকা দূর্দান্ত ক্যাচে 5 রানে ফিরে যান তামিম ইকবাল। মাহুমুদউল্লাহ ও উইকেটে বেশীক্ষণ ঠিকে থাকতে পারেন নি। 11 তম ওভারে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এই অবস্থা থেকে উওরণের জন্য বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল মুশফিক – সাব্বির এর দিকে। কিন্তু সাব্বির ও তুলে মারতে গিয়ে 17 তম ওভারে থিসারা পেরেরার বলে আউট হন। এই জুটিতে বাংলাদেশ ইনিংস সর্ব্বোচ 23 রানের জুটি হয়। শেষ পর্যন্ত লড়তে থাকা মুশফিক যোগ্য সঙ্গীর অভাবে রণে ভঙ্গ দিয়ে ব্যাক্তিগত 26 ও দলীয় 79 রানের মাথায় আউট হন। শেষ 11 রান তুলতে 5 উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সংগ্রহ দাড়ায় সবকটি উইকেট হারিয়ে 82 রান। বাংলাদেশ ব্যাটিং অর্ডার ধসের নেতৃত্ব দেন সুরাঙ্গা লাকমল। তিনি 21 রানে 3 উইকেট শিকার করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে চামারা, পেরেরা, সান্দাকান প্রত্যেকে 2 উইকেট করে শিকার করেন।

এটা ছিল শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পঞ্চম সর্বনিম্ন স্কোর। তার মধ্যে তিনটি হচ্ছে বাংলাদেশ দলের।

83 রানের টার্গেট জিততে হলে বাংলাদেশী বোলারদের অলৌকিক কিছু করত হত। কিন্তু সেইরকম কিছু গঠে নি। শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আক্রমণাত্বক খেলা শুরু করে, স্বাগতিক কোন বোলারকে সুযোগ না দিয়ে। দুই ব্যাটসম্যান গুণালতিকা ও উপুল থারাঙ্গার মারমুখী ব্যাটিং এ মাএ 11.5 ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দর পৌঁছে যায় শ্রীলংকা। শেষ পর্যন্ত গুণাতলিকা 3 চার ও 2 ছক্কায় 35* রানে ও উপুল থারাঙ্গা 1 চার ও 3 ছক্কায় 37 বলে 39* রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশর হয়ে মাশরাফি 2 ওভারে 15 রান, আবুল হাসান 4 ওভারে 25 রান খরচায় কোন উইকেট শিকার করতে পারেননি।


দারুণ বোলিং পারফরমেন্স এর জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন শ্রীলংকান বোলার সুরাঙ্গা লাকমল। তিনি 21 রানে 3 উইকেট শিকার করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : 82/10, মুশফিক 26,সাব্বির 10 (লাকমল 21/3,চামারা 6/2, সান্দাকান 24/2 )

শ্রীলংকা : 83/0, গুণাতলিকা 35,থারাঙ্গা 39 (মাশরাফি 15/0, আবুল হাসান 25/0, নাসির 13/0 )

Reported By:
Mohammad Ali

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *