একটি ভালো ও আদর্শ সিভি কেমন হওয়া উচিত : দৃষ্টান্ত সহ

0

চাকরির ক্ষেত্রে সিভি একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। সিভি বা ইন্টারভিউ হচ্ছে নিজেকে একজন পসিটিভ ও কার্যকর মানুষ হিসেবে সেল করার মাধ্যম!! আপনাকে প্রমান করতে হবে আপনি সবচেয়ে ফিট প্রাথী।

সিভি চাকরিদাতাকে বলে দিবে:

আপনি নিজেকে কিভাবে বর্ণনা করছেন (Your Style)
আপনি কি করেছেন (Past)
আপনি কি করছেন (Present)
আপনি কি করতে চান (Future)

আপনার সিভি খুবই স্পষ্ট হওয়া উচিত এবং শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক তথ্য থাকা উচিত

  • সিভি হচ্ছে সর্বপ্রথম ধাপ যাকিনা চাকরিদাতার সামনে আপনার নানাবিধ যোগ্যতাকে ও শক্তিমত্তা সুন্দরভাবে তুলে ধরবে।
  • মনে রাখতে চাকরিদাতা আপনার সিভি স্ক্যানিং এ আনুমানিক ১৫ সেকেন্ড ব্যয় করবে তাই এটা ক্লিয়ার এবং সুন্দর স্ট্রাকচার্ড হওয়া খুবই প্রয়োজন।
  • একটি দুর্বল সিভি ফরম্যাটের কারণে আপনি প্রত্যাখ্যাত হতে পারেন যদিও আপনি ওই কাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ছিলেন।
  • এক বানান ভুল বা ভুল বিস্তারিত সম্পূর্ণরূপে আপনার আবেদন বাতিল করতে পারে।
  • সেখানে ১৭% সম্ভাবনা যে আপনার কভার চিঠি পড়া হবে। সিভিটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আপনি যেই পদে আবেদন করার জন্য সিভি লিখছেন তখন সেই পদের জন্য আপনার প্রাসঙ্গিক নলেজ, প্রাসঙ্গিক ওয়ার্কিং এক্সপেরিয়েন্স, প্রাসঙ্গিক টেকনিকাল ও সফ্ট স্কিল, প্রাসঙ্গিক ট্রেনিং, গবেষণা এবং অন্য প্রাসঙ্গিক ইনফরমেশন সংক্ষেপে তুলে ধরবেন। মনে রাখবেন সময় আর টাকা পরস্পর পরস্পরের রুপান্তর। আপনার চাকুরীদাতাকে আপনি যত কম কথায় ইমপ্রেস করতে পারেন ততটাই ভাল।

একটি ভালো ও আদর্শ সিভি কেমন হওয়া উচিত:

১। সিভি গঠন ও বিষয়বস্তু খুবই গুরুত্বপুর্ণ । সিভি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা তথ্য প্রবাহ থাকতে হবে। কাজের ব্যাপারে আপনার দক্ষতা, আপনার উদ্দেশ্য এবং নিজের ভাবনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাইছেন তা সম্পর্কে ও তাদের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানুন এবং সিভিতে এইসবের একটা প্রতিফলন থাকতে হবে।

২। শুরুতে সংক্ষিপ্ত পারসনাল ইনফো দেয়া ভালো সাথে ভ্যালিড ই–মেইল, ফোন নম্বর ও পোস্টাল ঠিকানা।এবং সংক্ষিপ্ত অবজেক্টিভ দিতে হবে।

14269812_10154543936628910_365216490_n

 

৩। এরপর জব প্রাসঙ্গিক জ্ঞান যেমন টেকনিকাল, ম্যানেজমেন্ট, লিডারশিপ, মার্কেটিং, বিসনেস, টীম ওয়ার্ক ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে ।

14287611_10154541133178910_1246147416_n

৪ । অভিজ্ঞতার তথ্যগুলো উল্টো দিতে হবে। এখন যেটা এখন করছেন এটা সবার উপরে তারপর ইমিডিইয়েট পূর্ববর্তীটা তারপর তারচেয়ে পূর্ববর্তী এই ভাবে চলতে থাকবে।

14256557_10154543952073910_513215267_n
যদি কোনোই অভিজ্ঞতা না থাকে বা ফ্রেশার হয়ে থাকেন তাহলে কলেজ বা ইউনিভার্সিটির/ সোশ্যাল এন্ট্রেপ্রেনিউরদের প্রজেক্ট বা ওয়ার্কশপ বা ট্রেনিং উল্লেখ করতে হবে।

14159171_10154541136498910_987982374_n

৫। এরপর শিক্ষাগত যোগ্যতা / সার্টিফিকেশন গুলো উল্লেখ করতে হবে।

৬।এরপর ট্রেনিং ও পেশাগত যোগ্যতা / সার্টিফিকেশন গুলো উল্লেখ করতে হবে।

৭। এরপর কৃতিত্ব, সাধারণ ও পার্সোনাল তথ্য দিতে হবে ।

৮। কি ওয়ার্ড বা প্রাসঙ্গিক তথ্য ব্যবহার করতে হবে, যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির রেকুইরেমেন্ট উপর নির্ভর কররে।

৯। পেশাগত যোগ্যতা বাড়ানোর জন্য বেশি বেশি সার্টিফিকেশন ও ট্রেনিং করা উচিত।

১০। অ্যাকশন verb ব্যবহার করতে হবে, যেটা কিনা আপনার সিভিকে মোর এফেক্টিভ করবে।

১১। সিভি লেখা শেষে অবশই ভালো ভাবে রিভিউ করতে হবে।
***** রেফারেন্স সিভিটা শুধুমাত্র ধারণা নেবার জন্য……..!!! আপনার সিভি হবে আমার দক্ষতা, উদ্দেশ্য, ভাবনা এবং অভিজ্ঞতা অনুসারে!

Template CV : cv_sample

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *