ক্লাউড কম্পিউটিং কিভাবে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়ায়?

business, people, cloud computing and technology concept - smiling business team with smartphones, tablet pc computers working in office

প্রযুক্তির নানা পরিবর্তনের সাথে সাথে উদ্যোক্তাদের অনেক সম্ভাবনার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তির এই বিশ্বে যে শব্দের গুঞ্জন এখন সবচেয়ে বেশি,  “ক্লাউড কম্পিউটিং” এখন  প্রচুর সংস্থান এখন উদ্যোক্তাদের হাতের মুঠোতেই। বেশ বড় অনুঘটকের কাজ করে এই ক্লাউড কম্পিউটিং।

সময়ের দ্রুত পরিবর্তনে, ক্লাউডকে বিভিন্ন আইটি সমস্যার বড় সমাধান হিসেবে ধারণা করা হয়। এর ক্ষেত্রে দিনে দিনে অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু আইটি সমস্যা নয় ব্যবসায়ের কঠিন সমস্যাগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং।  ছোট ব্যবসাগুলোতে সহজে এবং দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে ক্লাউড এপ্লিকেশনগুলো। সহজভাবে তথ্য সাজানো এবং গুছিয়ে রাখার কাজটি উদ্যোক্তারা সহজেই করে নিতে পারবেন ক্লাউড সলিউশন ব্যবহারের মাধ্যমে।
ক্লাউড ভিত্তিক যে সেবাগুলো কোন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পেতে পারে, সেগুলো হলোঃ
ভার্সেটাইল কম্পিউটিং

এর প্রধান বৈশিষ্ট্য নমনীয়তা আর কম খরচে ব্যবহার। ভার্সেটাইল কম্পিউটিং আইটি প্রক্রিয়াকে সহজ করে, প্রতিষ্ঠানের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এসএমবি এই ধরণের ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা দিয়ে থাকে যা দিয়ে প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ আর আইটি এন্টারপ্রাইজ এগিয়ে যাচ্ছে।

খুব সাধারণ একটা পরিস্থিতির মাধ্যমে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সম্ভাবনা বোঝানো যেতে পারে।

ধরুন, আপনি কোন গ্রাহকের কাছে এসেছেন একটি ডিলে, কিন্তু জরুরী কোন পেপার আনতে ভুল করেছেন যার উপর এই ডিল এর সাফল্য,ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করছে। এই পেপার এর ডাটা যদি ক্লাউডে এ থাকে তবে খুব সহজেই আপনি দ্রুত আপনার সঠিক পেপার পেয়ে যাবেন।

এছাড়া ক্লাউডে ডাটা থাকলে নিরাপদ থাকবে। উদ্যোক্তারা সহজেই নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারেন এভাবে।

অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়

উদ্যোগ শুরু করতে সাধারণরত কিছু হার্ডওয়্যার, কিছু সফটওয়্যার এর প্রয়োজন পরে। এছাড়া এর জন্য ডাটাবেস লাইসেন্স, সার্ভার্, আইটি টুলস এর প্রয়োজনও হয়।  ক্লাউড টেকনোলজি খুব সহজেই এতো খরচ কমিয়ে দিতে পারে। সেইসাথে কমিয়ে দিতে পারে উদ্যোক্তার ঝুঁকিও। অনসাইট সার্ভারের কোন দরকার হয়না ক্লাউড কম্পিউটিং এর সার্ভিস এ। তাই দৈনিন্দন খরচও কমে যায় অনেকটা।

উপযুক্ত জ্ঞান

বেশিরভাগ উদ্যোক্তারাই শুরুতে এমন কিছু প্ল্যান করেন যা আদতেই বাস্তবায়জন সম্ভব নয়। আর বাস্তবায়নের জন্য দরকার একটি নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক এবং আনুসাঙ্গিক কিছু উপাদান। যা একজন নতুন উদ্যোক্তার পক্ষে সংগ্রহ করা  অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়। সেইসাথে দৈনিন্দন পরিচালনার ঝক্কি তো রয়েছেই। আর এই কাজই সহজ হতে পারে ক্লাউড এর মাধ্যমে। ক্লাউড ভেন্ডররা ট্রাবলশুটিং এর ব্যাপারগুলো সত্বর সমাধান করতে পারেন যা উদ্যোক্তাদের অন্যদিকে সময়ক্ষেপণের চাইতে শুধুমাত্র ব্যবসায়ে মনোযোগ দিতে সাহায্য করে অনেকাংশে।

ওয়েবসাইট ফাংশনিং

ওয়েবসাইট আপডেট করা ব্যবসায়ের জন্য একটি বড় বিষয় যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য কিছুটা সমস্যার কারণ হতে পারে। এছাড়া ডেডিকেটেড সার্ভার এর ব্যবহারও বেহস ব্যয়সাপেক্ষ। ক্লাউড খুব দ্রুত এবং সহজে ওয়েবসাইট পুরোদমে চালিয়ে নিতে সাহায্য করে। উদ্যোক্তারা ক্লাউড সার্ভিস এ ওয়েব ডিজাইন এনলিস্ট করে নিলে খুব সহজেই কাজ সম্পন্ন করা যায়। এটি উদ্যোক্তাদের সময়, অর্থ, শ্রম সবই বাঁচায়।

কিছু খরচ এবং নিরাপত্তার ব্যাপার থাকলেও ক্লাউড কম্পিউটিং উদ্যোক্তাদের মূল পন্য বা সেবার দিকে মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *