ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনুন এবং সফল হন

Business Diversity এখন খুব আলোচিত একটি বিষয়।  প্রায়ই ব্যবসায় বৈচিত্র্যের এই আলোচনা একটি উপভোগ্য খেলা হিসাবে বিবেচিত হয়; গুণতন্ত্র বনাম ইতিবাচক পদক্ষেপ, সংখ্যাগরিষ্ঠের বনাম সংখ্যালঘু , তাদের বনাম আমাদের। গুগল, ফেসবুক, টুইটার, অ্যাপল, এবং অ্যামাজন – সবাই তাদের বৈচিত্র্যতার কিছু পয়েন্ট প্রকাশ করেছে, তার মধ্য অন্যতম হল  “gender and ethnicity”। শুধু তা ই নয় তারা সময়ের সাথে প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তনের ছবিও দেখিয়েছে। কোম্পানিগুলো যে তথ্য প্রকাশ করে তা মূলত তাদের লক্ষ অর্জনের ধাপসমূহ। কিভাবে একটি কোম্পানিটিকে স্মার্ট করে তোলা যায় এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা যায় সে ব্যপারেও তারা নজর দিতে বলেছেন।

যখন কেউ এই বিষয়টি নিয়ে লিখবে তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেক ধরনের মন্তব্য পাওয়া যাবে। এর পক্ষে বিপক্ষে তীব্র সমালোচনা হওয়াটাও আশ্চর্যের কিছু নয়। শুধু তাই নাই, রিলেটিভলি নিউ এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতা জলি এমারসন বলেন, কোম্পানিগুলো তাদের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি এবং তা আরো কার্যকর করার জন্য সমাজ-বিজ্ঞানের কৌশল প্রয়োগ করে। ক্লায়েন্টদের মধ্যে স্লাক, এয়ারবিন, পিনটেরেস্ট, ইউডাসিটি অন্তরভুক্ত। এমনকি এমারসন বলেন, অনেক গবেষণায় দেখা গেছে -যেসব দল বৈচিত্র্যময়তায় বিশ্বাসী তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বেশি এবং আরও ভালো সমস্যা সমাধানের পথ তারা খুঁজে বের করে।

ড্র্যাপার বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ব্যাবসায় চিবৈত্র্য উপর এক আলোচনা সভায় এমারসন বক্তৃতা করেন। উল্লেখ্য, ড্র্যাপার এই সভার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা ছিল। ড্র্যাপার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সব ব্যপারে ট্রেডিশনাল না থেকে বৈচিত্র্যে বিশ্বাসী মতবাদটা একটু বেশিই কাজ করে। তারা সত্যিই একটি গ্লোবাল, মিশ্র-লিঙ্গ গ্রুপ সৃষ্টিতে আগ্রহী এবং সেইসাথে তারা তাদের কৌতূহল এবং উদ্দেশ্য দ্বারা প্রভাবিত।

এমারসনের মতে , একটি গবেষণা বলে-  অধিকাংশ মানুষ গুণী হতে চেষ্টা করে, অপেক্ষাকৃত কম গুণীগণ তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে উপরে উঠে। অন্য কথায়, মানুষ গুণতন্ত্রের উপর একচেটিয়াভাবে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে থেকে বলে পুরুষরা দ্রুত এগিয়ে যেতে চায় অপরদিকে নারীরা পিছিয়ে থাকে। এই তত্ত্বটি গুণতন্ত্রের প্যারাডক্স নামে পরিচিত

এক গবেষণায় দেখা গেছে , যেখানে বিনিয়োগকারীরা তাদের “প্যাটার্ন ম্যাচিং” এবং “চালিত তথ্য” সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিয়ে নিজেদের গর্বিত মনে করে। যেখানে ভিসি ৯১.৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৭৭.৫ শতাংশ সাদা হয়, আর এটিই একটি সমস্যা। তাই কোম্পানিগুলো তাদের নিয়োগের এবং প্রচার সিদ্ধান্তের উপর আলোকপাত করে। কিন্তু এই ধরনের কৌশলগুলো ব্যর্থ প্রতিপন্ন হয়। একইভাবে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ব্যর্থ পরীক্ষাগুলো আসলে ব্যক্তিটি কি করতে পারে, লিখতে পারে বা কোডিং করতে পারে তার উপর আলোকপাত করে।

এই হচ্ছে সিলিকন ভ্যালি, (এমারসন এর দৃষ্টান্ত ছাড়াও) তাদের বৈচিত্র্য প্রচেষ্টার সঙ্গে প্রযুক্তি কোম্পানির সাহায্য করার লক্ষ্যে স্টার্টআপের সংখ্যার সখ্যতা রয়েছে। গ্যাপ জাম্পারসরা কোম্পানিগুলোকে ব্লাইন্ড অডিশনের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটিকে আরও গঠনমূলক করে তোলে এবং কোম্পানিগুলো যেমন চায় সে অনুযায়ী জপঅয়েল ব্লাক, ল্যাটিন এবং ন্যাটিভ আমেরিকান প্রার্থীদের সংযোগ করতে সাহায্য করে।

পরিশেষে, বৈচিত্র্যময় ব্যবসার ভবিষ্যৎ আশা করি আপনি দেখতে পাচ্ছেন। স্মার্ট কোম্পানিগুলো এই পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং নিজেদের শুধু  সর্বব্যাপী ছড়িয়েই দেয় না, উচ্চতর কার্যকরীও করে তোলে। এই বিষয় সম্পর্কে আরো জানার জন্য, ভেনচুরবিটের বৈচিত্র্য, লিঙ্গ, এবং জাতি গল্পের সংগ্রহ অনুসরণ করুন। এই গল্পের একটি সংস্করণ মূলত ভেনচুরাবিট এ প্রকাশিত হয়।

তথ্যসুত্রঃ linkedin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *