‘লেডি ডাক্তার’ জীবন থেকে নেয়া – ডা: মিম্ মি

0

‘লেডি ডাক্তার’ শুনতে যতটা সুইট , এই নামটা ক্যারি করা ঠিক ততটাই তেতো কখনো কখনো।

লেডি ডাক্তার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার কয়েকটা প্যাথিটিক দিক হল–
.
.
‪#‎ডাক্তার‬ হয়ে যাবার পরও আপনাকে সিস্টার (বোন হিসেবে নয় কিন্তু, নার্স হিসেবে) ডাক শুনতে হবে।অবশ্যই নার্স অনেক সম্মানের পেশা। কিন্তু কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করে ক্যারিয়ার তৈরি করা এক পেশার মানুষ কে অন্য পেশায় সম্বোধন করাটা নির্বোধের কাজ ।
.
‪#‎আপনার‬ অন্য পেশার মেয়ে বন্ধুরা কিংবা বোনেরা যখন কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে তিন/চার দিন ধরে খুব পরিপাটি হয়ে সেজে গুজে ম্যাচিং ড্রেস আপ গেট আপে অংশগ্রহণ করবে, আপনাকে হয়তো হাসপাতাল থেকেই সরাসরি এপ্রোন হাতে অনুষ্ঠানে হাজির হতে হবে।তবে বেশিরভাগ সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারাটা একসময়ে সবাই স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিবে।
.
‪#‎রাত‬ জেগে রোগীর সেবা(নাইট ডিউটি) করলেও নিজের সন্তান এবং পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতার সময়ে আপনাকে মাথার পাশে পাওয়া যাবে না।
.
‪#‎স্বাস্হ্যসম্মত‬ খাবার রোগীকে খেতে উপদেশ দিলেও বেশীরভাগ লেডি ডাক্তার নিজের খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে চরম উদাসীন, পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে।
.

‪#‎পরিবার‬ এবং প্রফেশনের মাঝে রীতিমত শক্ত মজবুত সেতু তৈরি করে পা ফেলতে হয় লেডি ডাক্তারদের।টানা আটচল্লিশ ঘন্টার ডিউটি শেষ করে ঘরে ফিরে আমার ছেলে ডাক্তার কলিক যখন লম্বা শাওয়ার নিয়ে ক্লান্ত শরীরে নিশ্চিতের ঘুম দেন।ঠিক তখন আমার মেয়ে কলিক রান্না ঘরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দুপুরে স্পেশাল ডিস তৈরি করে গত দুই দিনের শূন্যতা পূরন করে নিতে।
.

‪#‎সব‬ পেশাই গুরুত্বপূর্ণ, সম্মানের এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে তৈরি।কিন্তু যেহেতু ডাক্তারী করা মানে শুধুমাত্র ফাইলপত্র না, মানুষের জীবন নিয়ে কাজ করা। তাই অনেক বেশি ডেডিকেশন, মনোযোগ এবং প্রশান্তির প্রয়োজন পেশাগত জীবনে।পাশাপাশি সব মেয়েই পুতুল খেলার বয়স থেকে সুখী সংসারের স্বপ্ন বুনে চলে।
.
তাই সংসার এবং পেশাগত জীবনে ব্যলান্স করতে করতেই লেডি ডাক্তারদের বেলা বয়ে যায়।
নিজের জন্য একান্ত সময়, নিজের সামান্য যত্ন, নিজেকে একটু ভালোবাসা…….. আর তাদের হয় না আমৃত্যু।

Courtesy: ডা: মিম্ মি,  ডা:  মিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *